Nawsad Siddique: তৃণমূলের ভোট ব্যাংক ধ্বংস হবে, বিস্ফোরক নওশাদ

ভাঙড়ে তৃণমূল বনাম আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলে যাওয়া আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) বিরুদ্ধেই বিজেপির এক শীর্ষ নেতার সাথে গোপন আর্থিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে

Nawsad Siddique

ভাঙড়ে তৃণমূল বনাম আইএসএফ কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলে যাওয়া আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) বিরুদ্ধেই বিজেপির এক শীর্ষ নেতার সাথে গোপন আর্থিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে বলে কলকাতা পুলিশের দাবি। তাকে হেফাজতে নিতে চাইল লেদার কমপ্লেক্স থানা।  শুক্রবার নওশাদ সিদ্দিকিকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। আদালত থেকেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আইএসএফ বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক চক্রান্ত করে আটকে রাখা হচ্ছে।

শুক্রবার আদালতে পেশের সময় নওশাদ বলেন, সকালে আমাকে বলা হল বারুইপুর কোর্টে আসতে হবে। রেডি হয়ে আসলাম। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, শাসক দলের ভোট ব্যাঙ্ক ধ্বংস হচ্ছে। তাই এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। যেটাকে এতদিন ভুল বুঝিয়ে রেখেছিল সেই ভুল বেরিয়ে আসছে। পঞ্চায়েত ভোটে হারের ভয়ে আটকে রাখা হচ্ছে। এই লড়াই চলবে।

এদিকে, ভাঙড়ে তৃণমূল ও আইএসএফের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় দিনের হেফাজতে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির।  শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিল বারুইপুর মহুকুমা আদালত। আগামী ৬ দিনের জন্য তাঁকে হেফাজতে নিল লেদার কমপ্লেক্স থানা। ভাঙড়ের ঘটনায় আর কারা যুক্ত রয়েছেন? সবটাই জানতে বিধায়ককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এদিন আদালতের তরফে জানানো হয়েছে ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনেই ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর, আগুন দেওয়া এবং তৃণমূল কর্মীদের ওপর মারধরের অভিযোগ রয়েছে নওশাদ এবং আশমা খাতুনের বিরুদ্ধে। একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাঁদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় থানা। নওশাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

এদিন নওশাদের আইনজীবীদের তরফে জানানো হয়েছে, একই ঘটনার প্রেক্ষিতে আরও একটি থানায় নওশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অথচ দুটি ভিন্ন কারণ কেন দেখানো হচ্ছে? আইনজীবীদের প্রশ্ন, কেন নওশাদের গাড়ির ওপর হামলা করার পর, কেন তাঁর ওপর হামলা করার পর কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হল না? আরাবুল সহ তৃণমূলের কর্মীদের গ্রেফতার করা হল না কেন?

এদিন সরকারি আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় বিক্ষোভের ঘতনাকে কেন্দ্র করে যে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে নওশাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তখনই লেদার কমপ্লেক্স থানার তরফে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।