এসি লোকালের উদ্বোধনে তৃণমূলের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন সুকান্ত

সপ্তাহান্তেও মহানগরীতে ছড়াল রাজনৈতিক উত্তেজনা (Sukanta)। শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট রুটে পূর্ব রেলের প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) লোকাল ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ দমদম স্টেশনে তুমুল উত্তেজনার…

Sukanta majumdar in dumdum

সপ্তাহান্তেও মহানগরীতে ছড়াল রাজনৈতিক উত্তেজনা (Sukanta)। শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট রুটে পূর্ব রেলের প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) লোকাল ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ দমদম স্টেশনে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সুকান্ত তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে বিজেপির মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন এবং বলেন এরা দীর্ঘদিন ধরে স্টেশন চত্বরে তোলাবাজি করে। উদ্বোধন শেষে সুকান্ত বেরিয়ে যেতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। আবারও ফিরে আসেন সুকান্ত। শুরু হয় হাতাহাতি গো ব্যাক স্লোগান। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দমদম স্টেশন চত্বর।

   

যার ফলে বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এই ঘটনা রাজনৈতিক উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।আজ সকালে দমদম স্টেশনে এসি লোকাল ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুকান্ত মজুমদার রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

এই ট্রেনটি শিয়ালদহ-রানাঘাট রুটে প্রথম এসি লোকাল হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, যা নিত্যযাত্রীদের জন্য আরামদায়ক ও আধুনিক ভ্রমণের সুযোগ নিয়ে এসেছে। কিন্তু অনুষ্ঠানের শেষে তৃণমূলের ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (আইএনটিটিইউসি)-এর কর্মীরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে সুকান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন।

যদিও কোনও বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি, তবে এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।এসি লোকাল ট্রেনটি শিয়ালদাহ থেকে রানাঘাট রুটে প্রতিদিন চলাচল করবে এবং এটি নিত্যযাত্রীদের জন্য আরামদায়ক ভ্রমণের সুযোগ নিয়ে এসেছে। এই ট্রেনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যেমন স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং দরজা, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং জিপিএস-ভিত্তিক তথ্য বোর্ড রয়েছে।

Advertisements

তবে, এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে। এক্স-এ পোস্টে অনেকে তৃণমূলের এই বিক্ষোভকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে সমালোচনা করেছেন, আবার কেউ কেউ তৃণমূলের পক্ষ নিয়ে বলেছেন, বিজেপি নেতারা রাজ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের একটি নতুন অধ্যায় যোগ করেছে।

আলু উৎপাদনে বিশ্বে ভারতের স্থান জানলে অবাক হবেন

এই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন বা রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে, সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “আমরা এই ধরনের বিক্ষোভে ভয় পাই না। জনগণের সেবার জন্য আমরা কাজ করে যাব।” আগামী দিনে এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে সবার নজর রয়েছে।