অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন রাজ্য বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা। বুধবার একটি অডিও প্রকাশ করে তাঁর দাবি ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের সময় চন্ডিপুরের বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মারধরের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেন সোহম চক্রবর্তীর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক মনীষ প্রামাণিক। এদিন সংবাদমাধ্যমে একটি অডিও প্রকাশ করা হয় রাজ্য বিজেপির তরফে।
অল্প সময়ের ওই অডিওতে সোহম চক্রবর্তী ও তাঁর আপ্ত সহায়কের কথোপকথন ভেসে ওঠে। সেখানে স্পষ্টভাবেই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পরোক্ষভাবে মারধরের নির্দেশ দিচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক। অডিওতে তিনি বলেন, “ওরা বেল পেয়ে বেরোলে ওদের ফ্যামিলির লোক যেন ওদের মুখ চিনতে না পারে।” অপর দিক থেকে মনীষ প্রামাণিক বলেন, ” এগুলো কথা সামনাসামনি বলাই ভালো।” তারপরেই অডিওটি শেষ হয়ে যায়।
এবার এই কথাগুলি সামনে আসতেই বঙ্গ রাজনীতিতে সোহম বিতর্ক নতুন মাত্রা পেল। বিধানসভা ভোটের সময় চন্ডিপুরে এই বিধায়কের গোপন বার্তাই রাজ্য বিজেপির কাছে নতুন হাতিয়ার হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য। সম্প্রতি নিউটাউনের একটি রেস্তরাতে খেতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান অভিনেতা। অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুমন্তব্য করায় রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে মারধর করেন তিনি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে রেস্তোরাঁর সামনে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইতিমধ্যেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন রেস্তরার মালিক আনিসুল মালিক।
তারপর এই অডিও প্রকাশ্যে আসতে ফের বিতর্কে দানা বাঁধলো। যদিও এই বিষয়ে মনীষ প্রামাণিকের দাবি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা কতটা রয়েছে সেই জলখোলা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। নির্বাচনে হেরে গিয়ে ওদের এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগের আশ্রয় নিতে হচ্ছে।” সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ব্যপক হারের সন্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যে বিজেপিকে। তারপরেই সাংগঠনিক দিক থেকে একরকম দিশে হারা দেখাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর শিবির। এখন হাল ফেরাতে গেরুয়া শিবির মেদিনীপুর জেলার চন্ডিপুরের বিধায়ককেই টার্গেট করছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।