নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জামিন পেলেন TMC বিধায়ক

জামিন পেলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলে ছিলেন বিধায়ক। আজ মঙ্গলবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তিনি (Jiban Krishna…

জামিন পেলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলে ছিলেন বিধায়ক। আজ মঙ্গলবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তিনি (Jiban Krishna Saha) বড়ঞার বিধায়ক। তিনি সেখানে ঢুকতেও পারবেন বলে জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তবে আজ জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। গ্রেফতারির ১৩ মাস পর তিনি জামিন পেলেন। এদিকে লোকসভা ভোটের মুখে বিধায়কের জামিনে স্বস্তির নিঃশ্বাস যে ফেলবে শাসক দল তৃণমূল তা বলাই বাহুল্য। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে ৬৫ ঘণ্টা, প্রায় তিন দিন ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করে সিবিআই। এই ঘটনা ২০২৩ সালে সমগ্র বাংলাকে কাঁপিয়ে দেয়। 

   

তৃণমূলের ওই বিধায়ক তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আগেই মানিক ভট্টাচার্য ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর বড়ঞার বিধায়ককে গ্রেফতার করে এজেন্সি। তল্লাশি অভিযানের সময়ে এই জীবনকৃষ্ণ  সাহা তাঁর বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুরে তার দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছ থেকে ডিভাইসগুলি ছিনিয়ে নেওয়ার পরে বিধায়ক হতাশ হয়ে ডিভাইসগুলি জলে ফেলে দেন। 

তল্লাশি অভিযানের সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পুকুর থেকে সাহার একটি ফোন উদ্ধার করলেও দ্বিতীয় ফোনটি এখনও উদ্ধার করা হয় না সেইসময়ে। এরপরে পুকুরের জল নিষ্কাশনের জন্য একটি পাম্প বসানো হয়। পরে মোবাইল ফোন উদ্ধারের প্রক্রিয়ায় গতি আনতে পুকুরে আরও দুটি মোটর পাম্প স্থাপন করা হয়।

তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়কে ‘দুর্নীতির কাজে’তে সহযোগিতা করতেন বলে অভিযোগ ছিল। মঙ্গলবার জীবনকৃষ্ণের জামিন সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের এজলাসে।