ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এবার পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাসকে সিবিআই তলব করল।
বিধায়ককে তলবের জেরে বর্ধমান শহরে চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে বিধায়ককে দুর্গাপুরে সিবিআই অস্থায়ী কার্যালয়ে হাজিরা দিতে হবে।
বিধানসভা ভোট পরবর্তী সময়ে বর্ধমান শহরের কয়েকটি এলাকায় রাজনৈতিক হামলা হয়। একই ইস্যুতে এর আগে জেরা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতার। তিনি বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ট।
এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই জেরার মুখোমুখি। বীরভূমের ইলামবাজারের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের ঘটনাতেই চলছে জেরা। গত বছর মে মাসে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর খুন হন গৌরব সরকার৷ তদন্তে নেমে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সেই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে উঠে আসে বিজেপি কর্মীকে খুনের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনুব্রত৷ এদিন জেরায় কঠিন প্রশ্নবাণে মুখে অনুব্রত। তবে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রক্ষাকবচ পেয়েছেন তিনি।
একই ইস্যুতে এর আগে জেরা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতার। তিনি বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ট।
বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল গত বছর ২ মে। সেদন ইলামবাজারে একটি খুন হয়। সেদিনই আমি তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল ভোটে জয়ের জন্য আমাদের দলের বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলাম। খুনের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। সেই সূত্র ধরেই সিবিএসই খুঁজে দেখছে কারা কারা অনুব্রত মণ্ডলের ফোনে সেদিন ফোন করেছিলেন। সিবিআই অফিসাররা আমার সঙ্গে দশ মিনিট কথা বলেছেন, আমি সবই জানিয়ে এসেছি।