“এই শেষ!” বিতর্কিত মন্তব্যে ফের চিঠি, হুমায়ুনকে কড়া বার্তা তৃণমূলের

কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ফের দলীয়ভাবে সতর্ক করা হল। শুক্রবার বিধানসভায় তাঁকে চূড়ান্ত সতর্কতা দিয়ে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল একটি লিখিত চিঠি।…

“এই শেষ!” বিতর্কিত মন্তব্যে ফের চিঠি, হুমায়ুনকে কড়া বার্তা তৃণমূলের

কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ফের দলীয়ভাবে সতর্ক করা হল। শুক্রবার বিধানসভায় তাঁকে চূড়ান্ত সতর্কতা দিয়ে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল একটি লিখিত চিঠি। দলীয় সূত্রের খবর, চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে “লাস্ট ওয়ার্নিং”। শাসকদলের পরিষদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে ডেকে হুমায়ুনকে এই সতর্কবার্তা জানানো হয়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে তৃণমূল নেতৃত্বের অস্বস্তি চরমে ওঠে। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দল এবার আরও কঠোর মনোভাব নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

   

চিঠিতে কী লেখা আছে?

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চিঠিতে হুমায়ুন কবীরকে জানানো হয়েছে বারবার মিডিয়ায় এমন মন্তব্য করেছেন যা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এবার থেকে এমন মন্তব্য থেকে বিরত না থাকলে দলীয়ভাবে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে। একইসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে, এটি শেষবারের মতো সতর্কবার্তা-“এই সতর্কবার্তাকে লাস্ট ওয়ার্নিং হিসেবে বিবেচনা করুন”।

কী মন্তব্যে বিতর্ক? TMC MLA Disciplinary Action

সম্প্রতি বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূল নেতা কাশেম সিদ্দিকীকে নিয়ে একাধিক মন্তব্য করে শোরগোল ফেলে দেন হুমায়ুন কবীর। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “দিনে তৃণমূল, রাতে শুভেন্দু—কেন নেতারা শুভেন্দুর বাড়িতে ভেট পাঠান?” এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিস্তর চাপানউতোর শুরু হয় দলীয় অন্দরেই। হুমায়ুনের বক্তব্যের বিরোধিতা করেন মালদহের তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীও। তিনি দাবি করেন, “যদি এমন কিছু বলে থাকেন, তা হলে তার প্রমাণ দিন।”

Advertisements

এর আগেও একাধিকবার হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু বিতর্কিত মন্তব্য বন্ধ হয়নি। এবার শেষবারের মতো লিখিতভাবে সতর্ক করল তৃণমূল।

তবে এই সতর্কবার্তার পর হুমায়ুন কবীর কী প্রতিক্রিয়া জানান বা ভবিষ্যতে তাঁর অবস্থান কী হবে, সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।