TMC : দলে বিভাজন, ইন্দিরা-কংগ্রেসের ছায়া তৃণমূলে

ক্ষমতার মগডালে বিভাজন। কে কার নেতৃত্বে তা-ই নিয়ে চর্চায় তৃণমূল (TMC)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) রাজনীতিতে পদার্পন৷ শুভেন্দু অধিকারীর…

TMC

ক্ষমতার মগডালে বিভাজন। কে কার নেতৃত্বে তা-ই নিয়ে চর্চায় তৃণমূল (TMC)।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Avishek Banerjee) রাজনীতিতে পদার্পন৷ শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিঁড়ি ভেঙে ওঠেননি।’ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল মমতার পরেই রয়েছেন অভিষেক। বয়সের নিরিখে তিনি অনেকটা ছোটো। সেহেতু দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ার পরে রয়েছে অভিষেকের সামনে। সময় যত দীর্ঘ, সম্ভাবনাও তত বেশি।

সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগণায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “এখন মেলা, খেলা, ভোট সব বন্ধ রাখা উচিত। দু’মাস সব বন্ধ রাখা উচিত। মানুষ বাঁচলে আমরা বাঁচব। এটা আমার ব্যক্তিগত মত।” তাঁর এই বক্তব্যের পরেই তৃণমূলের অন্দরে সমস্যার সূত্রপাত। যা এখন প্রকাশ্যে।

‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’- এর প্রশংসা করে দেবাংশু ভট্টাচার্য লিখেছিলেন, “শক্তির নিত্যতা সূত্রে পড়েছিলাম, এনার্জি অবিনশ্বর! একে সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না, রূপান্তরিত করা যায় কেবল। সেই সূত্রকে অন্যরকম ভাবে ভাবলে দেখবেন, ইচ্ছে শক্তিই বোধহয় রূপান্তরিত হয়ে সাফল্যের চালিকা শক্তি হয়ে ওঠে। কিংবা উল্টোটা!… ডায়মন্ড হারবার করে দেখাচ্ছে।” সামাজিক মাধ্যমে দেবাংশুর এই পোস্ট সমর্থকদের অনেকে ভালোভাবে নেননি। এধরণের মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

এরপর একে অন্যের বিরুদ্ধে শব্দবাণ নিক্ষেপ করতে শুরু করেছেন কুণাল ঘোষ এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণাল অভিষেকের হয়ে সুর চড়িয়েছেন। কল্যাণ আনুগত্য প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। ঘোষের মতে, “সাধারণ সম্পাদক একটা কথা বলেছেন। সেটাই দলের মত। কল্যাণ কখন বলেছে, সন্ধের আগে না পরে, সেটা দেখতে হবে।”

কল্যাণের পাল্টা, “আমার নেত্রী মমতা। কুণাল কবে দলে ছিল, কবে আছে, ও তো মমতার বিরুদ্ধে বলেছে। আমি তো জেলখানায় বসে বলিনি। দল বিরোধী কথা আমি বলি না।”

রাজ আসনে বর্তমান কোনো দলের অন্দরে কোন্দল নতুন কিছু নয়। বিভাজনও নতুন নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কংগ্রেস করতেন এক সময়। কিন্তু বিভাজন হলে সেটা কোন প্রেক্ষাপটে হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ।

ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) আমলে একছত্র রাজত্ব ছিল কংগ্রেসের। তবুও হল বিভাজন। কিছু নেতা-নেত্রী রইলেন নেত্রীর সঙ্গে। কিন্তু হাত মেলালেন মুরারজি দেশাইয়ের সঙ্গে। জাতীয় সঙ্গে ভেঙে হয়েছিল ‘আই কংগ্রেস’ এবং ‘ও কংগ্রেস’। দলীয় সভাপতি, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেশাই লালন করেছিলেন বহু বছর ধরে। কিন্তু শিকে ছিঁড়ছিল না ভাগ্যের। লবি তৈরি হয়েছিল দলের মধ্যে। শেষে বিভাজন।