দুর্নীতির একটার পর একটা মামলায় জর্জরিত শাসতকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সিবিআই ইডি টানাটানি চলছে। পঞ্চায়েতে দুর্নীতির একটার পর একটা অভিযোগও উঠেছে। এসবের মাঝে ভাঙা বাড়ির মঞ্জু দলবেরা বেমামান! তিনি পঞ্চায়েত সদস্যা তবে তেমন কিছু সঙ্গতি নেই। সেই মঞ্জুকে প্রার্থী করল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের গোলার গ্রামের টিএমসি প্রার্থী।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দুর্নীতিগ্রস্ত এবং বাতেলাসর্বস্ব নেতার জায়গা নেই নতুন তৃণমূলে। কেশপুরের সভা থেকে তিনি বলেছিলেন ‘নতুন তৃণমূল’ কেমন হবে। স্বচ্ছ প্রার্থী হিসেবে তিনি তুলে ধরেন দলের শেখ হোসিনুদ্দিন, মঞ্জু দলবেরা ও তাঁর স্বামী অভিজিত দলবেরাকে।
সেই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন দু’জনকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করল তৃণমূল। শেখ হোসিনুদ্দিন ও মঞ্জু দলবেরা কেশপুর এলাকার কলাগ্রাম ও গোলারের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী। মঞ্জু দলবেরা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন কেশপুর বিডিও অফিসে ৷সঙ্গে ছিলেন স্বামী অভিজিত দলবেরা ৷
গত ৪ ফেব্রুয়ারি জেলার আনন্দপুরের জনসভায় উপস্থিত জনতাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘হোসিনুদ্দিনের মতো লোকেরাই তৃণমূলের মুখ হতে চলেছেন। করেকম্মে খাওয়ার দিন শেষ।’’ গোলাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা মঞ্জু দলবেরা এবং তার স্বামী অভিজিত দলবেরার জীবনযাপনও তুলে ধরেন অভিষেক। স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি অভিজিৎ দলবেরাকে মঞ্চে ডেকে ভূয়সী প্রশংসা করেন। জানিয়েছিলেন, নিজেদের বাড়ি ভেঙে পড়েছে অথচ স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যা, অভিজিত বাবু নিজের বুথের সভাপতি৷ জীবনযাপন অতিসরল৷ এরাই আমাদের মুখ হবে পঞ্চায়েতে ৷
বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মঞ্জু দলবেরা বলেন আমি দলের কাছে কৃতজ্ঞ। দল আমাকে টিকিট দেওয়ার জন্য। আমি আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব৷