হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানার সাঁপুইপাড়া এলাকায় দুষ্কৃতীর গুলিতে গুরুতর জখম হলেন বসুকাঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চলের চেয়ারম্যান বাবু মণ্ডল। তাঁর সঙ্গী অনুপম রাণাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই হামলার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পুরো অঞ্চলে।
বাড়ি ফেরার সময় হামলা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাত প্রায় ১১টা। অনুপম রাণার মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন বাবু মণ্ডল। পথের মাঝেই পিছন দিক থেকে আরও একটি বাইকে চেপে হাজির হয় দু’জন দুষ্কৃতী। খুব কাছ থেকে বাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁর কোমর ও কাঁধে গুলি লাগে। অনুপম বাধা দিতে এগিয়ে যেতেই তাকেও লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার ধারে লুটিয়ে পড়েন দু’জন। স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁদের দ্রুত উত্তর হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে স্থানীয় নেতারা TMC Leader Shot Howrah
খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছান হাওড়া জেলা (সদর) তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, যুব তৃণমূল নেতা নূরজ মোল্লা-সহ দলের বহু নেতা-কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কল্যাণ ঘোষ বলেন, “হামলার কারণ অনুমান করা কঠিন। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তবে মাঝরাতে এই গুলিবর্ষণের পর থেকেই এলাকায় তীব্র ভয়-আতঙ্ক।
২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে ধারাবাহিক সংঘর্ষ-হামলার ঘটনায় হাওড়ার রাজনৈতিক আবহ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে—এমনটাই মনে করছে স্থানীয় মহল।
