লুক আউট নোটিশ জারির পর আচমকা গোপন ডেরা থেকে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বার্তা, যদি আমার অপরাধ কেউ প্রমাণ করতে পারে তাহলে ‘নিজের মুন্ডু নিজে কেটে ফেলব’। রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রান্ত (Attack On ED) হয়েছিলেন ইডি অফিসাররা ও রক্ষীরা। রক্তাক্ত সেই ছবি দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি করে।
সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান উত্তর ২৪ পরগনা জেলাপরিষদের মৎস্য কর্মাধক্ষ্য। তার বাড়িতে অভিযান চলার সময় তৃ়নমূল সমর্থকরা হামলা করেছিল। তারপর থেকে পলাতক শাহজাহান। রেশন দুর্নীতিতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ শাহজাহানের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি হয়। এরপরেই বার্তা এলো শাহজাহানের তরফে।
অডিয়ো বার্তায় নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করে শাহজাহান বলে, “ইডি-সিবিআই যেটা করছে সেটা ষড়যন্ত্র। আমি কোনও দিন অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাহলে নিজের মুণ্ডু কেটে ফেলব। আপনারা আমার উপর আস্থা রাখুন। আমি দুর্নীতি করিনি। যতদিন বেঁচে থাকব অন্যায় প্রশ্রয় দেব না। আমার কী হবে আমি কোথায় যাব সেটা ভাবার দরকার নেই। তৃণমূল কর্মীদের কাছে আমার আহ্বান আপনারা দলের সঙ্গে থাকুন।”
নিখোঁজ শেখ শাহজাহানের পরিবারের অভিযোগ সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তালা ভেঙে ঘরে ঢুকেছেন। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও দুটি এফআইআরও করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার পর জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন শেখ শাহজাহানের ফোনের লোকেশন অনুযায়ী ওই সময় শাহজাহান বাড়ির ভিতরে ছিলেন। ইডির অফিসাররা ও সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন বাইরে। দরজা খোলার জন্য বলছিলেন।এমন সময় প্রায় হাজার খানেক গ্রামবাসী ঘিরে ফেলেন। চলে ইট-পাথর বৃষ্টি। বাঁশ লাঠি নিয়ে ধাওয়া করে।
শুক্রবার থেকে নিখোঁজ শেখ শাহজাহান। এমনও গুঞ্জন ছড়ায় সে নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। তবে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন থাকায় সীমান্তে বিশেষ পাহারা। সেক্ষেত্রে তার পক্ষে বাংলাদেশে ঢোকা কঠিন। স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকরা বলে, শেখ শাহজাহান এলাকাতেই আছে। এরপর এলো তার অডিও বার্তা।
অভিযোগ, শাহজাহান এক যুগ আগে বাংলাদেশ থেকে চলে এসেছিল পশ্চিমবঙ্গে। বাম জমানার শেষ দিকে সে বাম ঘনিষ্ঠ। পরে তৃ়ণমূলের নেতা হয়। তার বেআইনি টাকায় বাংলাদেশে ব্যবসা চলছে।