21 July Rally: লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে ৪২-০ গোলে জেতার টার্গেট দিলেন মমতা

আগামী লোকসভা ভোটে রাজ্যে সবকটি আসন দখল নিতে চান তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ২১ জুলাই সমাবেশ (21 July Rally) থেকে তাঁর দলকে এ…

আগামী লোকসভা ভোটে রাজ্যে সবকটি আসন দখল নিতে চান তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ২১ জুলাই সমাবেশ (21 July Rally) থেকে তাঁর দলকে এ রাজ্যের ৪২টি আসনের সবকটিতে জয় আনার নির্দেশ দিলেন।

গত লোকসভা ভোটে বিজেপির জয় করা সবকটি আসন তৃণমূল কংগ্রেসকে পেতে হবে বলেছেন মমতা। কংগ্রেসের জয় হওয়া আসন রয়েছে। আর সিপিআইএমের নেই। তৃণমূল নেত্রী সব লোকসভা আসন চান।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, লোকসভা পরবর্তী দিল্লিতে রাজনৈতিক সমীকরণে নিজের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে মমতা মরিয়া।

২১ জুলাই সমাবেশ থেকে রাজ্যে ভয়াবহ বেকার সমস্যার সমাধানে লক্ষাধিক চাকরির ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বীরভূমের দেউচা পাঁচামিতে খনি প্রকল্পে ১ লক্ষ চাকরি হবে। এই ঘোষণার পর চাঞ্চল্য ছড়ায়। কারণ, প্রকল্প তৈরিতে বাধা দিয়েছেন এলাকার আদিবাসীরা। সেখানে বারবার টিএমসি ঢুকতে বাধা দিচ্ছে।

টিএমসি সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই দলে কোনও ধান্ধাবাজ নেই।

আর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা সরাসরি তোপ দাগলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, আমাদের মেরুদণ্ড সোজা। ওদের ব্যাঁকা। ওদের মেরুদণ্ড একদিকে ইডি, একদিকে সিবিআই। একদিকে আইটি, অন্যদিকে জিএসটি। আমরা মাথা উঁচু করে চলি।

মমতা বলেন, আমরা গর্বিত। সারা ভারতে ৪৫ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে। বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে। দেউচা পাঁচামি, তাজপুর বন্দর, নতুন সিলিকন ভ্যালি— বাংলায় প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। আগামী ৫০ বছর রাজ্যের কয়লা নিয়ে কোনও চিন্তা করতে হবে না।

রাজ্য সরকার ১৭ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগে জন্য প্রস্তুত। কিন্তু বারবার বিজেপি আটকে দিচ্ছে। সরাসরি আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতার বার্তা, বিকাশবাবুদের জন্য নিয়োগ হচ্ছে না।কাদের বার্থ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন? সেই ফাইলটা একটু বার করব? কী বলেন বিকাশ বাবু! কটাক্ষ মমতার।

একুশে জুলাই উপলক্ষে সেজেছে কলকাতার রাজপথ। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দলের আগামী দিনের রণনীতি এবং কর্মসূচি সবটাই তুলে ধরা হবে। অভিযোগ, কিন্তু যে কারণে শহিদ দিবস সেবিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করতে দেখা যায়নি তৃণমূল সুপ্রিমোকে।

সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। প্রশ্ন উঠছে, ১৯৯৩ সালে বামফ্রন্ট আমলে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব মনীশ গুপ্তর রিপোর্ট এবং পরে বিচারপতি চ্যাটার্জি কমিশনের রিপোর্ট। তাঁর বয়ান রীতিমতো অস্বস্তিকর। যদিও পরে মণীশ গুপ্ত মমতা সরকারের মন্ত্রী হন।