Lok Sabha Elections: চোখ চব্বিশে। নজর মুর্শিদাবাদে। অধীরকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ তৃণমূল নেত্রী। বহরমপুর-সহ মুর্শিদাবাদের তিন আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ইঙ্গিত। একজোট হয়ে লড়লে ফ্যাক্টর নন কেউই। কালীঘাটের কৌশল বৈঠকে বার্তা মমতার।
মুর্শিদাবাদ। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটে মোদি বিরোধী টিম ‘ইন্ডিয়ার’ বড় পরীক্ষা নবাবের জেলায়। চব্বিশের মহারণে মুর্শিদাবাদ যেন গ্রাউন্ড জিরো। কারণ এই জেলারই নেতা কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। বহরমপুরের সাংসদ। যিনি বরাবর তৃণমূল বিরোধী। এবারও এ রাজ্যে তৃণমূলের হাত ধরে লোকসভা ভোটে যাওয়ার ঘোর বিরোধী। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের নেতা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনের কৌশল বৈঠকে অধীর চৌধুরীর প্রসঙ্গ তোলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তখন তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘ওসব মাথা থেকে বের করে দাও। আমরা সবাই মিলে লড়াই করলে তিন আসনেই জিতব। কেউ কোনও ফ্যাক্টর নয়। আমি পূর্ব বর্ধমান যাব। তারপর যাব তোমাদের জেলায়।’ বৈঠকে শুধু মুর্শিদাবাদেই নয় রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী দেওয়ার ইঙ্গিত মমতার।
এদিনের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান হুমায়ুন কবীর। তখন তাঁকে থামিয়ে দিয়ে সতর্ক করেন তৃণমূলনেত্রী। সংবাদমাধ্যমের সামনে কম কথা বলার নির্দেশ দেন। হুমায়ুন কবীরকে উদ্দেশ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘এ সব চলবে না। দলে কে কী করছে সব নজরে আছে।’
মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে ভুগিয়েছে দলীয় কোন্দল। বিধায়কদের সঙ্গে জেলা নেতৃত্ব বা ব্লকের সমস্যা নানা সময়ে সামনে এসেছে। এ নিয়েও শুক্রবারের বৈঠকে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘ব্লকের সঙ্গে বিধায়ক কিংবা জেলা সংগঠনের ঝামেলা মেটাতে হবে। কোনও কিছু শুনব না।’
একদিকে কড়া বার্তা। অন্যদিকে ভালো কাজের প্রশংসা। এদিনের বৈঠকে আবু তাহের ও খলিলুর রহমানের কাজের প্রশংসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।