Kunal Ghosh: মান ভাঙল কুণালের! গাইলেন ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’

ব্রাত্য বসু এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠকের পর মান ভাঙল কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। একই সঙ্গে দলের প্রতি সুর নরম হয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের।…

cm-mamata-gave-tmc-leader-kunal-ghosh-a-big-responsibility

ব্রাত্য বসু এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠকের পর মান ভাঙল কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। একই সঙ্গে দলের প্রতি সুর নরম হয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের। আজ, শনিবার দুপুরে তৃণমূল সাংসদ ডেরেকের বেকবাগানের বাড়িতে বৈঠকে বসেন ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে হাসিমুখে গান ধরেন কুণাল, ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’। এই গানই বলে দিচ্ছিল আপাতত দলের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে কুণালের। ক্ষোভ কমেছে, মান ভেঙেছে, কুণালের আকাশে-বাতাসে এখন শুধুই আনন্দ!

মানভঞ্জনের বৈঠক প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, আমি তো আগেই বলেছি তৃণমূল ছিলাম, আছি, থাকব। এ নিয়ে জল্পনার কিছু নেই। ভোটের কাজের জন্যই বৈঠকে বসেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সেনাপতিত্বে লড়ে যাব আমি। আমি একজন গর্বিত তৃণমূল কর্মী। বৈঠকের কী আলোচনা হচ্ছে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের অপসারিত রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এ প্রসঙ্গে তাঁর সংক্ষিপ্ত উত্তর, দেখতে থাকুন কী হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও বৈঠক নিয়ে কিছু বলতে চাননি।

   

বুধবার উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে একমঞ্চে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। ওই অনুষ্ঠানে তাপসের ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রেস বিবৃতি দিয়ে কুণাল ঘোষকে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। সেই প্রেস বিবৃতিতে সই ছিল ডেরেকের। এই সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ খোলা শুরু করেন কুণাল ঘোষ। 

তৃণমূল সাংসদ ডেরেককে আক্রমণ করে কুণাল বলেন, কী দোষ করেছি, বুঝতে পারলাম না। আমাকে কি এবার অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? কার উদ্দেশে কথাগুলো লিখলেন, সেটা একবারও মনে হল না। কী হবে পদ নিয়ে আমার? আমি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে কাজ করছি, ভবিষ্যতেও করব। ডেরেককে ‘ক্যুইজ মাস্টার’ বলে কটাক্ষ করেন কুণাল।

তারপর গত কয়েক দিনে তৃণমূল সম্পর্কে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কুণাল। কখনও বলেছেন, বর্তমান মন্ত্রিসভার এক সদস্য শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। আবার কখনও বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির কথা অনেক আগে থেকেই জানত দল। এই পরিস্থিতিতে কুণালকে দলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও সরিয়ে দেয় জোড়াফুল শিবির।

কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি দলের প্রাক্তন মুখপাত্র তথা প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে। দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগও তোলেন কুণাল। তিনি বলেন, আমি সবসময় বিরোধী নেতাদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করি। দুই নৌকায় পা দিয়ে চলি না। অনেকে তো বিজেপি নেতাদের নিয়ে গোলগোল করে কথা বলেন। বিজেপি নেতাদের চুপিচুপি ফোনও করি না।

কুণালের একের পর এক মন্তব্যের জেরে তীব্র বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবারই কুণালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দলের এক নেতা। তাঁকে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি কুণাল। এরপর ব্রাত্য বসু কুণালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডেরেকের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন তিনি। অবশেষে ‘বন্ধু’ ব্রাত্যর কথা মতো ডেরেকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কুণাল। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়েই ভোলবদল কুণালের।