ফুটবল মাঠে রেফারিকে লাথি তৃণমূল নেতার! বিস্ফোরক শুভেন্দু

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলছিল (Suvendu)। হঠাৎই রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে গন্ডগোল। ফুটবল খেলায় এই ঘটনা স্বাভাবিক এবং এই ধরণের ঘটনায় খেলোয়াড়রাই নিজেদের মধ্যে…

Suvendu accused TMC leader

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলছিল (Suvendu)। হঠাৎই রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে গন্ডগোল। ফুটবল খেলায় এই ঘটনা স্বাভাবিক এবং এই ধরণের ঘটনায় খেলোয়াড়রাই নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে সেই ঝামেলা মিটিয়ে নেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হল ব্যাতিক্রম। খোদ তৃণমূল নেতা মাঠে ঢুকে রেফারিকে কষালেন টেনে এক লাথি।

রেফারি লক্ষণ মান্ডি খড়্গপুর সাবডিভিশনের রেফারি এসোসিয়েশনের প্রধান এবং পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক।ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর পৌরসভা অঞ্চলে এবং এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তৃণমূল চেয়ারম্যান সৌমেন খানের ভাইপো রাজা খান। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বিরোধী দলনেতা মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) এই ঘটনার দৃশ্য তার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন।

   

তিনি বলেছেন “পুলিশ প্রশাসনের প্রশ্রয়ে হৃষ্টপুষ্ট বলিষ্ঠ তৃণমূলী সমাজবিরোধী গুণ্ডাদের কীর্তি দেখুন। খেলার মাঠের বিতর্কে রেফারিকে সর্বসমক্ষে লাথি মারছে মেদিনীপুর পৌরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সৌমেন খানের ভাইপো রাজা খান।” তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, লক্ষণ মান্ডি একজন সম্মানিত শিক্ষক এবং তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সদস্য।

শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে এই ঘটনার তদন্ত এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৮৯ এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার উপযুক্ত ধারায় রাজা খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যদি পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়ে তৎপরতা না দেখায়, তবে আমি লক্ষণ মান্ডিকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য সব ধরনের সহায়তা করব।”

তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতির সমালোচনা করে বলেছেন, “তৃণমূলের সংস্কৃতি হলো রেফারিকে কুরুচিকর আক্রমণ করা, তা ভোটের ময়দানে নির্বাচন কমিশন হোক বা ফুটবল মাঠে রাজা খানের মতো তৃণমূলী নেতা।” এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে খেলা মাঠে হয় এবং সেই খেলায় মতবিরোধ হতেই পারে।

Advertisements

তাই বলে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট ব্যাক্তি মাঠে নামতে পারেন না। তারা আরও বলেছেন যে শুধু মাঠে নেমে গন্ডগোল নয় লক্ষণ মান্ডির মত একজন সম্মানিত ব্যাক্তিকে এইভাবে জনসমক্ষে লাথি মেরে অপমান করার কি যোগ্যতা আছে ওই ব্যাক্তির।

গণেশ চতুর্থীতে Volkswagen-এর বিশেষ অফার, এই দুই গাড়িতে ২.১০ লাখ পর্যন্ত ছাড়

স্থানীয় ব্যাক্তি এবং প্রতক্ষদর্শীদের মতে খেলার মাঠ পবিত্র জায়গা সেখানে শাসক দলের মদতপুষ্ট নেতারা ঢুকে গুন্ডামি করছে তা সমগ্র ক্রীড়া জগতের অপমান। তবে বিরোধী দলনেতা কি ব্যবস্থা নেন এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেন সেটাই দেখার।