Uttar Dinajpur: বাম ভোটের ব্যালটের পর তৃ়ণমূল নেতা খেলেন বিজেপির সার্টিফিকেট

হাবড়ার পর উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। বাম ভোটের ব্যালটের পর এবার তৃ়ণমূল নেতা খেলেন বিজেপির সার্টিফিকেট বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘীরে তীব্র শোরগোল এলাকায়। জানা যাচ্ছে এবার…

হাবড়ার পর উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। বাম ভোটের ব্যালটের পর এবার তৃ়ণমূল নেতা খেলেন বিজেপির সার্টিফিকেট বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘীরে তীব্র শোরগোল এলাকায়। জানা যাচ্ছে এবার রায়গঞ্জের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সার্টিফিকেটই ছিঁড়ে খেয়ে ফেললেন।

১৩ নম্বর কমলাবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে তোলপাড়! বিজেপির দখলে গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড। জানা যাচ্ছে ১৭ আসনের গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯টি বিজেপির, ৭টি তৃণমূল, ১টি কংগ্রেসের। বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের জয়ের সার্টিফিকেটই খাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি কাগজ কী খাওয়ার জিনিস?

বিজেপি শিবির অভিযোগ করে তৃণমূলের সোনা টোপ্প নামের এক প্রার্থী তাদের প্রধান গঠনের সার্টিফিকেট ছিঁড়ে তার তিন টুকরো খেয়ে ফেলেছেন। যদিও তৃণমূল প্রার্থী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় গণনা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে ব্যালট খেয়ে নিয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। এবার সেই অবাক করা ঘটনার পুনরাবৃত্তি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে৷ খেয়ে নিলেন বিজেপির প্রার্থীর জয়ের শংসাপত্র বলেই অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নং কমলাবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া ছিল। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় শুরু হয় প্রক্রিয়া। কিন্তু বেলা বাড়তেই আচমকা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ পঞ্চায়েত দফতরের ভেতরে যখন প্রধান নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি চলছিল তখন হঠাৎ তৃণমূলের এক সদস্যা বিজেপির জয়ী সদস্যর শংসাপত্র হাত থেকে কেড়ে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে মুখে পুরে নেন বলে অভিযোগ। এরপরই BJP নেতৃত্ব প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। 

বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ভোলানাথ বর্মন বলেন, ‘এই গ্রাম পঞ্চায়েতে BJP সংখ্যাগরিষ্ঠ রয়েছি। তৃণমূল এখানে বোর্ড গঠন করতে পারবে না। সে কারণে প্রতিহিংসাবশত তারা বিজেপির কাগজপত্র ছিঁড়ে দিয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা বোর্ড গঠন করতে পারছে ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিজেপি।’

ঘটনার জেরে তীব্র শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। প্রতিবেদন প্রকাশের সময় গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে BJP কর্মীরা এবং আপাতত বোর্ড গঠন স্থগিত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।