সুপ্রিম কোর্টে জামিন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমানের

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিন পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান। ২০১৯ সালে পাঁশকুড়ার তৃণমূল দফতরে দলের এক কর্মী কুরবান আলিকে হত্যার অভিযোগ ওঠে…

SSC 2016 recruitment cancellation

সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিন পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান। ২০১৯ সালে পাঁশকুড়ার তৃণমূল দফতরে দলের এক কর্মী কুরবান আলিকে হত্যার অভিযোগ ওঠে আনিসুরের বিরুদ্ধে। এই হত্যার ঘটনাটি বেশ শোরগোল ফেলে দিয়েছিল এবং তৃণমূল দলের অভ্যন্তরে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। তবে, সুপ্রিম কোর্ট আনিসুর রহমানের (Anisur Rahaman) জামিন মঞ্জুর করেছে, যা তাঁর পক্ষ থেকে একটি বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।  

প্রতিবেশীর ঘরে বসেই কাউন্সিলর দুলালকে হত্যার ছক দুষ্কৃতীদের, ধারনা পুলিশের

আনিসুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, ২০১৯ সালে তিনি নিজের দলের কর্মী কুরবান আলিকে হত্যা করেছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, আনিসুর রহমান কুরবান আলির সাথে দলের কাজ নিয়ে কোনও বিষয়ে বিরোধ সৃষ্টি করেছিলেন এবং সেই বিরোধের ফলে কুরবান আলিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করেছিল এবং তাঁকে দীর্ঘ সময় কারাগারে রাখা হয়েছিল। তবে, আনিসুরের দাবি ছিল যে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং তিনি একেবারেই নির্দোষ।

এবার সুপ্রিম কোর্টের জামিন আদেশের পরে আনিসুর রহমানের সমর্থকরা তাকে নির্দোষ দাবি করে বলছেন, “আইনের পথেই জামিন পেয়েছেন আনিসুর।” তাঁদের মতে, রাজ্যের শাসকদল বা তৃণমূল কংগ্রেস দলের বিরোধীরা অনেকে দলীয় রাজনৈতিক কারণে আনিসুরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল, এবং সেই কারণে তাকে এই হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আইনি পথেই তিনি জামিন পেয়েছেন এবং আদালত তাঁর নির্দোষতা প্রমাণ করেছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা আগে থেকেই জানতাম আনিসুর রহমান নির্দোষ। তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছিল এবং এখন আদালতও তা স্বীকার করেছে।” দলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, “এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ ছিল, যেখানে দলের বিরুদ্ধে ক্ষতিকর উদ্দেশ্যে কিছু নির্দোষ ব্যক্তির ওপর ঝামেলা চাপানো হয়েছিল।” 

বিজেপি শাসিত রাজ্যে সাংবাদিক খুন

Advertisements

তবে, কিছু বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই জামিন আদেশকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি এবং প্রভাবের কারণে আদালতে সঠিক বিচার না পেয়ে জামিন পেয়েছেন আনিসুর। এই ধরনের দাবির পেছনে কিছু রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, যেখানে বিরোধীরা তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের মামলা রয়েছে।

সাতসকালে উত্তেজিত দুর্গাপুরের দেওর, চরম পরিণতি বৌদির

সুপ্রিম কোর্টের জামিন আদেশের পর, আনিসুর রহমানের পরিবার এবং তার সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, এটি তাদের বিজয় এবং তারা আশাবাদী যে আগামী দিনে আনিসুরের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলির সত্যতা উঠে আসবে। একইসঙ্গে, রাজ্যের রাজনীতি ও আইন ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে, বিশেষ করে কীভাবে রাজনৈতিক প্রভাব আদালতের রায়কে প্রভাবিত করতে পারে, সে বিষয়ে।

এই জামিন আদেশের পরবর্তী সময় কিভাবে রাজনীতির মঞ্চে প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে। তবে, একটি বিষয় স্পষ্ট যে, এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি ও আইন ব্যবস্থার জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত তৈরি করেছে।