নিজের নামে গোরু চোর গোরু চোর ধ্বনি শুনে রাজ্য থেকে বিদায় নিয়ে আপাতত তিহার জেলে আছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃ়ণমূল সভাপতিকে পঞ্চায়েত ভোটে কোনওভাবেই পাচ্ছেনা দল। এই পরিস্থিতিতে জেলার সাংগঠনিক হাল নিয়ে বিশেষ বৈঠকে (Mamata Banerjee) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমে কে ধরবেন দলীয় হাল তা ঠিক করবেন মমতা। কলকাতায় গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের আগে জেলা থেকে এলো দলত্যাগের বার্তা। তৃণমূল ছেড়ে হুড়মুড়িয়ে বাম শিবিরে (CPIM) ঢোকার ছবি দেখে চিন্তিত শাসক দল।
সিপিআইএম বীরভূম জেলা কমিটি জানাচ্ছে, অন্যান্য জেলার মতো বীরভূমেও তৃ়ণমূল ছেড়ে বাম শিবিরে চলে আসার পালা চলছে। প্রতিবেশি জেলা মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের জয়ের পর গ্রামাঞ্চলে তৃ়ণমূল ত্যাগের প্রবণতা বেড়েছে। পঞ্চায়েতে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে তৃ়ণমূল নেতারা গ্রামে ঢুকলেই ঘেরাও হচ্ছেন।
সিপিআইএম বীরভূম জেলা কমিটি জানিয়েছে, ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের ডাবুক অঞ্চলের সাধ্যাহাট গ্রামে তৃণমূল ত্যাগ করেছেন কমপক্ষে ২৮-৩০টি পরিবার। এরা সবাই যুব তৃণমূলের সাথে যুক্ত ছিলেন। তারাই সিপিআইএম নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেন। তাদের হাতে পতাকা তুলে দেন সিপিআইএম জেলা নেতৃত্ব অরূপ বাগ।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস এই দলত্যাগ বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি। তবে অনুব্রত মণ্ডলকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে আর পাওয়া যাবেনা তা নিশ্চিত ধরে নিয়েছেন তৃ়ণমূল নেতৃত্ব। সিপিআইএম জেলা নেতৃত্বের দাবি, গত পুরভোটের পর থেকেই বীরভূমে তৃ়ণমূল ত্যাগ চলছে।
জেলা তৃণমূলের অন্দরে প্রশ্ন, জেলে থাকা অনুব্রত মণ্ডলকে সরিয়ে কাকে জেলার দায়িত্বে আনা হবে? যদিও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থির করেছেন বীরভূম জেলা তিনিই দেখবেন৷ কিন্তু সরাসরি জেলা থেকে কে সবটা দেখবেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।