বাঁকুড়া: দিনে দুপুরে নদী চুরি! আর বাঁকুড়া শহরে এই ‘নদী চুরি’র ঘটনায় নাম জড়াল শাসক দলের এক নেতার। যা নিয়ে তৈরী হয়েছে বিতর্ক। এমনকী বিজ্ঞান মঞ্চ থেকে নদী বাঁচাও কমিটির সদস্য প্রত্যেকেই পথে নামার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাঁকুড়া শহরের ঠিক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদী গন্ধেশ্বরী। সারা বছর ওই নদীতে সেভাবে জল না থাকলেও বর্ষার দিনগুলিতে গন্ধেশ্বরী ফুলে ফেঁপে ওঠে। অনেক সময় প্লাবিত হয় নদী তীরবর্ত্তী এলাকা। আর এই ঘটনার পিছনে নদীর গতিপথ আটকে দেওয়ার চেষ্টাকেই অনেকেই দায়ী করেন। আর সাম্প্রতিক সময়ে ফের সেই ঘটনার স্বাক্ষী থাকলেন বাঁকুড়ার মানুষ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা যুবরাজ মিশ্রের নেতৃত্বে নদীগর্ভ জবরদখল করে ‘কনস্ট্রাকশান’ তৈরী হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই ‘অবৈধ’ কাজ কী করে হয় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাঁকুড়া শহরের মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এভাবে নদী গর্ভে ‘কনস্ট্রাকশান’ হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হবে। অল্প বৃষ্টিতেই শহরের একটা বড় অংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হবে বলে তারা দাবি করেন।
গন্ধেশ্বরী নদী বাঁচাও কমিটির যুগ্ম সহ সম্পাদক সন্তোষ ভট্টাচার্য বলেন, সাম্প্রতিক অতিতে এই নদীর ভয়াবহ রুপ দেখেছি, এভাবে চলতে থাকলে ওই একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি হবে। এই ঘটনার পিছনে নিশ্চয় কোন ‘বড় হাত’ আছে। গন্ধেশ্বরীকে বাঁচাতে ফের তাঁরা আন্দোলনে নামবেন বলে তিনি জানান।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র বলেন, পরিবেশের স্বার্থে নদীকে তার আপন গতিতে বইতে দিতে হবে। কারো ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নদী দখলের ঘটনা মেনে নেওয়া যায়না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দার পাশাপাশি মানুষকে সমবেত করে তাঁরা সংগঠনগতভাবে আন্দোলনে নামবেন বলে তিনি জানান।
বাঁকুড়া পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান হীরালাল চটাটরাজ বলেন, ওই কাজে পৌরসভার অনুমোদন নেই। খবর পাওয়ার পরই সেচ দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ, সেচ দফতর ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে ওই কাজে যুক্ত ব্যক্তি যে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন ছাড় পাবেনা বলে তিনি দাবি করেন।