চা বাগানের ফলে তৃণমূলের অক্সিজেন!

চা বাগানে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল (TMC)। চব্বিশের ভোটে চা বাগান এলাকার অনেক বুথেই বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিজেপির থেকে ছিনিয়েও নিয়েছে নাগরাকাটা বিধানসভা। যেখানে ঘরে…

tmc

চা বাগানে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল (TMC)। চব্বিশের ভোটে চা বাগান এলাকার অনেক বুথেই বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। বিজেপির থেকে ছিনিয়েও নিয়েছে নাগরাকাটা বিধানসভা। যেখানে ঘরে ঘরে চা শ্রমিক। এই ফলকে সামনে রেখেই এবার টিএমসির পাখির চোখ ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে চা বলয়ের তিন আসনে হার। কিন্তু এই ফলের গভীরে গিয়ে অক্সিজেন খুঁজে পাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। কারণ চা বলয়ের অনেক বুথেই এগিয়ে তৃণমূল। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার। চা বলয়ের মধ্যে পড়ে এই তিনটি লোকসভা আসন। উনিশের মতো চব্বিশেও এই তিনটি আসনেই জিতেছে বিজেপি। কিন্তু এবার বিজেপির জয়ের ব্যবধান অনেকটাই কমেছে।

   

উনিশে দার্জিলিং আসনে জয়ের ব্যবধান ছিল ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৪৪৩। এবার সেটাই কমে ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫২৫। আলিপুরদুয়ারে উনিশে বিজেপির জয়ের ব্যবধান ছিল ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯৮৯। এবার কমে ৭৫ হাজার ৪৪৭। উনিশে জলপাইগুড়িতে বিজেপির জয়ের ব্যবধান ছিল ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪। এবার কমে ৮৬ হাজার ৬৯৩।
গ্রাফিক্স আউট-

এখানেই শেষ নয়, বেশ কয়েকটি বিধানসভা আসনে উনিশের তুলনায় এবারের ভোটে ঘাসফুল বেশি ফুটেছে। যেমন নাগরাকাটা বিধানসভা। নাগরাকাটা বিধানসভা এলাকায় ১৭টি চা বাগান রয়েছে। একুশের বিধানসভা ভোটে এই নাগরাকাটায় জয়ী হয় বিজেপি। এবার খেলা ঘুরিয়ে নাগরাকাটায় লিড পেয়েছে তৃণমূল। এখানে তৃণমূল এগিয়ে ২৮টি বুথে বিজেপি এগিয়ে ২৫টি বুথে। একইভাবে লিড পেয়েছে মাল বিধানসভা এলাকায়। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনের মধ্যে চা বাগান এলাকার বুথ রয়েছে ৪৮৩টি। এর মধ্যে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে ২৪৪টি বুথে। এছাড়া দার্জিলিং জেলার সমতলে চা বলয়ের বুথ রয়েছে ৭১টি। এর মধ্যে ৩৮টি বুথে বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে তৃণমূল।

অনেকই মনে করছেন, চা বলয়ে তৃণমূলের এই ফলের পিছনে কাজ করছে একাধিক ফ্যাক্টর। প্রথমত, লক্ষ্মীর ভান্ডার। এছাড়া, চা বাগানের বাসিন্দাদের পাট্টা দেওয়া। চা সুন্দরী প্রকল্পে বাড়ি চা বাগানে লাগাতার সভা-বৈঠক। শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের চা বাগানে রাত্রিবাস এবং চা-বাগান অধিগ্রহণ না করায় কেন্দ্রকে আক্রমণ।