বৃষ্টির রেশ কমতেই জেলায় জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সমর্থকদের বিক্ষোভ তুঙ্গে। শুক্রবার রাত থেকে যে বিক্ষোভ আগুন জ্বলতে শুরু করেছে তার জের শনিবার সকাল থেকে আরও বেড়েছে। পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল চলছেই।
শুক্রবার টিএমসি ১০৮টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এর পর থেকে বিক্ষোভ ছড়াতে শুরু করে। প্রথমে দলটির অনুমোদন বিহীন তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। পরে টিএমসি মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদিত তালিকা চূড়ান্ত। এতেও ক্ষোভ মেটেনি। তালিকা দেখেই জেলাস্তরে শুরু হয় টিএমসির বিক্ষোভ। যে যার অনুগামী নিয়ে প্রতিবাদে নেমে পড়েন।
চাপে পড়ে চূড়ান্ত তালিকার সঙ্গে ভুয়ো তালিকার বিভ্রান্তি মেটাতে কিছুক্ষেত্রে ‘রেকটিফাই’ করে টিএমসি। এতে বিক্ষোভ তো মেটেইনি বরং বৃষ্টির জোলো আবহাওয়া পরিস্কার হতেই বিক্ষোভের আঁচ সকাল থেকে বেড়েছে।
‘আমিই হব প্রার্থী’ এমন দাবি নিচুস্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বত্র। যে যার মতো অনুগামী নিয়ে দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন। এক কদম এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের বিক্ষোভকারীরা রাতেই ঘেরাও করেন মন্ত্রী অখিল গিরির বাড়ি। তাদের দাবি প্রার্থী বাতিল করতে হবে।
বিক্ষোভের জের উত্তরবঙ্গেও। দলীয় পতাকা পোড়ানো, স্থানীয় বিধায়কদের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ দেখিয়ে সমর্থকরা ভোটের সময় বদলার হুমকি দিতে থাকেন।
কোথাও কোথাও প্রার্থী হতে না পেরে হাউহাউ করে কান্না জুড়ে দেন প্রত্যাশীরা। এক্ষেত্রে ফের আলোচনায় বিধানসভা ভোটে প্রার্থী না করায় সোনালি গুহর কান্না। তিনি দলত্যাগ করেছিলেন। টিএমসি জিততেই ফের দলনেত্রী মমতার কাছে ফিরিয়ে নেওয়ার আবেগময় বার্তা দেন।
রাজনৈতিক মহলের আলোচনা শাসকদলের প্রার্থী কোন্দলেবেড়ে মতো বিরোধী দল বিজেপিরও একই হাল হতে চলেছে। তাৎপর্যপূর্ণ, পুরভোটে সবার আগে বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা আসলেও তাদের প্রার্থীদের নিয়ে কোনও বিক্ষোভ আসেনি।