লোকসভায় না হলেও উপনির্বাচনেই বাংলায় হচ্ছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট?

অবশেষে বঙ্গে হচ্ছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট? গত এক দশকে যা ছিল অসম্ভব,আসন্ন উপনির্বাচনে তাই হতে চলেছে বাস্তব? অধীর-সেলিমের হেরে যাওয়ায় এবার ঘাস্ফুলের ছায়ায় হাত শিবির? গত…

অবশেষে বঙ্গে হচ্ছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট? গত এক দশকে যা ছিল অসম্ভব,আসন্ন উপনির্বাচনে তাই হতে চলেছে বাস্তব? অধীর-সেলিমের হেরে যাওয়ায় এবার ঘাস্ফুলের ছায়ায় হাত শিবির?

গত কয়েক মাসের লোকসভা পর্বে বঙ্গ রাজনীতিতে চমকের খামতি ছিল না। এবার আসন্ন উপনির্বাচনেও আরও বড় চমকের সাক্ষী হতে চলেছে বঙ্গবাসী? অন্তত সূত্র মারফৎ যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে সেই সম্ভাবনা এখনই খারিজ করা যাচ্ছে না।

   

লোকসভায় বঙ্গে INDIA জোট না হওয়ার দায় অভিষেক, মমতা সহ গোটা তৃণমূল শিবির সরাসরি চাপিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ওপর। লোকসভায় দীর্ঘদিনের মিথ ভেঙে বহরমপুরে অধীর হেরেছেন তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের কাছে, পাশের মুর্শিদাবাদে হেরেছেন বাম-কংগ্রেস জোটের আরেক কারিগর সিপিআইএমের মহম্মদ সেলিমও।

আর তাই এবার বঙ্গের চার বিধানসভা আসনে আসন্ন উপনির্বাচনে তাই জোড়াফুলকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে দিল্লীর কংগ্রেস হাইকম্যানড। যদিও দিল্লীর ডাকে মমতার মন গলবে কিনা সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। অসমর্থিত সুত্রে খবর এই ব্যপারে কংগ্রেস কতৃপক্ষ একটি ফরমুলা প্রস্তাব করতে চলেছে, ৩ঃ১-এ আসন সমঝোতা চাইছে তাঁরা। কংগ্রেস সুত্রে খবর রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা, রায়গঞ্জ, তিনটি আসন কংগ্রেস ছাড়তে চায় তৃণমূলকে, বদলে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী করতে চায় উত্তর কোলকাতার প্রয়াত দাপুটে কংগ্রেস নেতা সৌমেন মিত্রের ছেলে রোহনকে!

অপরদিকে পিছিয়ে নেই আলিমুদ্দিন স্ট্রীটও। বাম নেতৃত্বও নিজদের মত করে বঙ্গের হাত শিবিরের সাথে আসর রফা করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে! ১৪ ই জুন বিশেষ নির্বাচনী বৈঠকে বসার কথা তাদের, যেখানে আরেক প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সির কথা ভেবে রায়গঞ্জ আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়ার প্রস্তাব দিতে পারে তারা। যদিও লোকসভায় বঙ্গে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পর সেই প্রস্তাব আদৌ দিল্লী দরবারে পাত্তা পাবে কিনা সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে!

এদিকে মানিকতলা যে এবার তৃণমূলের সাত রাজার ধনের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানিক, সেটা তৃণমূল সুপ্রিমোঃ মমতা ব্যানার্জীর তড়িঘড়ি বানানো কোর কমিটি বা প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে প্রার্থী ঘোষণা করা থেকেই পরিষ্কার! ফলে মানিকতলা নিয়ে যে দিল্লীর দাবি জনসমক্ষে আসার আগেই কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে সেটা একরকম বলে দেওয়াই যায় ।

এবার কংগ্রেস কি করে সেটাই দেখার বিষয়! অধীরে ভরসা রাখা, না একলা চলো, কোন দিকে হাত বাড়ায় হাত শিবির, তার ওপরেই হয়তো নির্ভর করছে আগামীদিনের বঙ্গে জোট সমীকরণ!