Howrah: এশিয়ার প্রাচীনতম হনুমান জুটমিল ভাঙল, চাপা পড়া শ্রমিকদের খুঁজতে নামল বুলডোজার

ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হাওড়ায় (Howrah) ভেঙে পড়েছে হনুমান জুট মিলের ছাদ। চটকলের ভিতর ধংসস্তূপ। ছাদ ভেঙে পড়ায় মিলের ভিতর কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক চাপা পড়েেছেন। তাদের উদ্ধার…

ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হাওড়ায় (Howrah) ভেঙে পড়েছে হনুমান জুট মিলের ছাদ। চটকলের ভিতর ধংসস্তূপ। ছাদ ভেঙে পড়ায় মিলের ভিতর কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক চাপা পড়েেছেন। তাদের উদ্ধার কাজ চলছে। বিশাল ছাদ ভেঙে পড়ায় হতাহত কত তা জানা যায়নি। তবে এলাকাবাসী বলছেন, মিলের ভিতর চার পাঁচজন চাপা পড়েছে।

শুক্রবার  ভোরে ভেঙে পড়ে হনুমান ভেঙে পড়ে হনুমান জুটমিলের একাংশ। ভেঙে পড়া অংশের পাশেই চলছিল নতুন দেয়াল তৈরির কাজ। দুর্ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে যান হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। উদ্ধার অভিযানে নামে দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জেলা পুলিশ।বুলডোজ়ার এনে ধংসস্তূপ সরিয়ে চলে উদ্ধার কাজ।

   

ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একাধিক মানুষের দেহ চাপা পড়ার আশঙ্কা। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত গোটা এলাকাবাসী। গাফিলতি কার এ বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

বহু পুরনো হাওড়ার হনুমান জুট মিল। এই মিলের পুরনো দেয়াল এবং তার সঙ্গে নতুন দেওয়াল নির্মাণের কাজ চলছিল। যার একটা অংশ তাসের ঘরের মত হুর মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনাটি যখন ঘটেছে তখন নাইট শিফট সবে শেষ হয়েছে এবং মর্নিং শিফটের কর্মীরা মিলে ঢুকছেন। হাজিরার খাতায় সই করে মেশিন গুলি নাইট শিফটের কর্মীরা বন্ধ করে সবে বেরোচ্ছেন। এবং সকালে গিয়ে কর্মীরা সেই মেশিনগুলি হ্যান্ড ওভার নেবে, সেই প্রক্রিয়া চলছিল। এর মধ্যকার সময়েতেই এই মর্মান্তিক বিপর্যয় ঘটেছে।

মিলের অন্যান্য কর্মী সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্তত তিন থেকে চারজন কর্মী এই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে। এক কর্মী জানিয়েছেন, ‘ বিশাল জোরে এক আওয়াজ হল এবং সমস্ত কর্মীরা কারখানা ছেড়ে পালিয়ে গেল আমি স্বচক্ষে দেখেছি। আমরা পেছনের দিক থেকে কোনও রকমে জীবন নিয়ে পালিয়ে বেঁচেছি।

এখনো পর্যন্ত ভেতরে কতজন আটকে রয়েছে তা নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য জানানো হয়নি। এক্সরে স্ক্যানার মেশিনে তদন্ত চলছে যে ধ্বংসস্তূপের নিচে যদি কোনও মানুষ চাপা পড়ে থাকে তাহলে সেটা এই মেশিনে দেখা যাবে। কোনও প্রাণের স্পন্দন থাকলে এই মেশিনে তা সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসবে। এবং জেসিবি দিয়ে একের পর এক ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে।