২০১৪ সালে টেট (TET) পরীক্ষায় বসে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিল ১৭ হাজার জন। এখন সেই ১৭ হাজার জন প্রাথমিক শিক্ষকের তথ্য সংগ্রহ শুরু করল পর্ষদ৷ সকলকেই তদন্তের আওতায় এনে ফেলা হল৷
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতির আঁচ পাওয়া মাত্রই ১৭ হাজার জনের নথি চেয়ে পাঠায় কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থা। ১৬ জুন সমস্ত জেলা কাউন্সিলগুলিকে চিঠি দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি। সেখানেই ২০১৪ সালে পাশ হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক পদে কর্মরত শিক্ষকদের নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে তথ্য সংগ্রহের কাজ। জেলা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি যাচ্ছে সার্কেলে। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় পাশ করে যারা ২০১৭ থেকে ২০২০ এর মধ্যে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সকলের নথি পাঠাতে হবে৷ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছ থেকে ১৭ হাজার জনের নিয়োগপত্রের কপি চেয়ে পাঠানো হয়েছে৷ চাওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের নিয়োগপত্রের কপি সহ একাধিক তথ্য৷
এমনিতেই গত ১৩ জুন আদালতের নির্দেশে ২৬৯ জনের চাকরি গেছে। ২৭৮৭ জনের আবেদনের ভিত্তিতে ২৭৩ জনের নিয়োগের কথা আদালতের কাছে জানায় পর্ষদের আইনজীবী৷ ভুল প্রশ্নের কারণে ১ নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
কী কারণে শুধুমাত্র ২৭৩ জনের ১ নম্বর করে বাড়ানো হল? কেন বাকিদের ১ নম্বর করে বাড়ানো হল না? পর্ষদের দেওয়া উত্তরে অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি। গতকালই সভাপতি পদ থেকে মাণিক ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ আজ সশরীরে দুপুর ২ টোর সময় হাজিরা দেওয়ার কথা মানিক ভট্টাচার্যের।