উত্তরবঙ্গ থেকে ফের অশনি সংকেত ? দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) বিমল গুরুং দিয়েছেন অনশন হুমকি। আর কোচবিহার (coochbehar) থেকে আসছে ‘গ্রেটার’ (জিসিপিএ) নেতা বংশীবদনের তরফে রাজ্য ভাগের দাবি উঠল।
পৃথক গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের জন্য জিসিপিএ নেতা বংশীবদন বর্মণ রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বার্তা দিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পূর্ব অবস্থান রাজ্য ভাগ না করার দাবিতে অনড়।
দার্জিলিং সফরে গিয়ে মমতার বিড়ম্বনার কারণ হয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গোজমুমো) নেতা গুরুং। সূত্রের খবর, তিনি টিএমসির পক্ষ আবার ত্যাগ করে পৃথক গোর্খাল্যান্ড দাবিতে আন্দোলন করতে চলেছেন। দার্জিলিং পুরসভায় পরাজয়ের পর গুরুং রাজনৈতিক জমি উদ্ধারে এই পথ নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এর মাঝে কোচবিহার থেকেও বিচ্ছিন্নতাবাদী বার্তা ফের আসছে। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসেসিয়েশন নেতা তথা রাজবংশী একাডেমির চেয়ারম্যান বংশীবদনের দাবি, ভারত স্বাধীন হবার পর কোচবিহার রাজ পরিবার যে ভারতভুক্তি চুক্তি করেছিল তার ভিত্তিতে এই দাবি। আলিপুরদুয়ারে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি করেন।
জিসিপিএ অনন্ত মহারাজ ও বংশীবদন বর্মণ শিবিরে বিভক্ত। বংশীবদনের দাবির পর থেকে উত্তরের রাজনীতি সরগরম। গ্রেটার কোচবিহার দাবির সঙ্গে অনন্ত মহারাজ একমত হলেও তিনি বংশীবদনের অবন্থান নিয়ে নীরব।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, এই দাবি তোলা ঠিক নয়। পৃথক রাজ্যের দাবি মানুষ মানছেন না। পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড দাবি থেকেও সরে আসছেন মানুষ। সবাই উন্নয়ন চায়। কিন্তু তাঁর যুক্তির বিপক্ষে গিয়ে দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় গুরুংপন্থী মোর্চা ফের আন্দোলন করতে নামছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের গরম কোচবিহার। রবীন্দ্রনাথ ঘোষের খাস এলাকা সিতাইতে টিএমসি নেতার পুত্রের উপর হামলা হয়েছে।