TMC Extortion: তৃণমূলের চাঁদাবাজিতে মর্মান্তিক পরিণতি শিক্ষকের! গ্রেফতার আইনাল হক

মুর্শিদাবাদ, ১৪ সেপ্টেম্বর: মুর্শিদাবাদের ডোমকলের একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সিংহ রায় (TMC Extortion)। হঠাৎ ই শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা…

TMC Extortion

মুর্শিদাবাদ, ১৪ সেপ্টেম্বর: মুর্শিদাবাদের ডোমকলের একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সিংহ রায় (TMC Extortion)। হঠাৎ ই শুক্রবার রাতে নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ৪২ বছর বয়সী উজ্জ্বল সিংহ রায় গণিতের শিক্ষক। কেন এই ঘটনা ঘটালেন তা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। তবে পুলিশি তদন্ত এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা আইনাল হককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে তিনি ৩৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। পুলিশ এই অভিযোগের ভিত্তিতে হককে গ্রেফতার করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করে। উজ্জ্বলের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন যে হকের অবিরাম হুমকি এবং চাঁদাবাজির কারণে উজ্জ্বল এই চরম পদক্ষেপ নেন। এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক জাগিয়েছে এবং টিএমসির বিরুদ্ধে রোজকার চাঁদাবাজির অভিযোগকে আরও জোরালো করেছে।

   

উজ্জ্বল সিংহ রায় ডোমকলের একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান যে গত কয়েক মাস ধরে আইনাল হক তাঁকে হয়রানি করছিলেন। আইনাল টিএমসির স্থানীয় নেতা এবং ডোমকল এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি স্কুলের উন্নয়নের নাম করে ৩৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন উজ্জ্বলের কাছে।

উজ্জ্বল এই দাবি মানতে অস্বীকার করলে আইনাল তাঁকে ফোন করে হুমকি দেন এবং বলেন যে না দিলে তাঁর চাকরি এবং পরিবারের নিরাপত্তা বিপন্ন হবে। উজ্জ্বলের স্ত্রী রিয়া সিংহ রায় পুলিশকে বলেন, “আমার স্বামী গত সপ্তাহে হকের ফোন পেয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন।

তিনি বলেছিলেন যে হক ৩৫ লক্ষ টাকা না দিলে স্কুল থেকে বদলি করে দেবেন এবং আমাদের পরিবারকে ক্ষতি করবেন। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন।” পরিবারের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে পুলিশ হককে শনিবার সকালে গ্রেফতার করে।

Advertisements

মুর্শিদাবাদের পুলিশ আধিকারিকরা জানান যে তদন্ত চলছে এবং হকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় (আত্মহত্যার প্ররোচনা) মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা উজ্জ্বলের মোবাইল ফোন থেকে হকের সাথে কথোপকথনের রেকর্ড পেয়েছি। এতে চাঁদাবাজির প্রমাণ রয়েছে। হককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং অন্য কোনো সহযোগী থাকলে তাদেরও গ্রেফতার করব।”

তৃণমূলের চাঁদাবাজির ঘটনা নতুন নয়। প্রত্যেকদিন কলকাতা সহ অন্যান্য জেলা গুলিতেও সমান তালে চাঁদা বাজি এবং তোলাবাজির ঘটনা ঘটছে। চাঁদা না দিতে পারলে করা হচ্ছে মারধর অত্যাচার। কলকাতার তপসিয়া থেকে গুলশান কলোনি।

বিতর্কের মাঝেই IND vs PAK ক্রিকেট ম্যাচ! অযোধ্যায় পুজো দিলেন সাধুরা

এবং মুর্শিদাবাদের এই নক্কারজনক ঘটনা তৃণমূলের চাঁদাবাজির আরও এক উইদাহরণ বলে প্রমাণিত হয়েছে এমনটাই দাবি করছেন রাজ্যের মানুষ। এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করেছেন এই ঘটনার প্রভাব আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গভীর প্রভাব ফেলবে।