কলকাতা: খাস কলকাতায় দীপাবলিতে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) একহাত নিলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। “আলোর উৎসব দীপাবলি, দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে পরিণত হল”, বলে এক্সে পোস্ট করলেন তিনি।
শুভেন্দুর অভিযোগ, বুধবার রাতে খাস কলকাতার সাউথ সিটি কমপ্লেক্সে নিয়ম কানুন মেনেই দীপাবলি উৎসব পালন করছিলেন বাসিন্দারা। কলকাতা পুলিশের নিয়মাবলি মেনেই বাজি ফাটাচ্ছিলেন তাঁরা। তবুও “হিন্দু-বিরোধী মমতা পুলিশ” তাঁদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু দাবী করেন, “দীপাবলির আনন্দ উৎসবে হানা দিয়ে সাউথ সিটি কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়া হয়। মারধোর, এমনকি কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ”।
পুলিশের এই “বর্বরোচিত” আচরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, “স্বাধীন ভারতে, দীপাবলি উদযাপন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু মমতার (Mamata Banerjee) একনায়কতান্ত্রিক শাসনামলে, হিন্দুদের তাদের নিজের বাড়িতেই অপরাধীর মত অনুভব করাচ্ছে মমতা প্রশাসন। এটি কেবল একটি উৎসবের উপর আক্রমণ নয়, এটি হিন্দু সংস্কৃতি, বিশ্বাস এবং অস্তিত্বের উপর সরাসরি যুদ্ধ! কেন এই ভণ্ডামি? অন্যান্য উৎসবের সময় এই ধরনের অতি উৎসাহী কাজ কখনও দেখা যায় না।”
তিনি আরও লেখেন, “মমতার হিন্দু-বিরোধী অ্যাজেন্ডা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আর রাজ্যের পুলিশ গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আশা করি হিন্দুরা আগামী বছরের দীপাবলি শান্তি এবং নির্ভয়ে উদযাপন করতে পারবেন”।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে কাকদ্বীপের সূর্যনগর পঞ্চায়েতের উত্তর চন্দনপুরে মা-কালীর মূর্তি ভাঙা নিয়ে বুধবার সকালেই এক্সে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বেলা গড়াতেই ওই ভাঙা কালী মূর্তিকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। অপরাধীদের ধরার বদলে মমতা-প্রশাসন পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
তিনি আরও বলেন, “মমতার (Mamata Banerjee) অপশাসনে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীদের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু দেবদেবীদের প্রতিমা ভাঙচুর, মণ্ডপ ভাঙচুর, হিন্দুদের বাড়িঘর লুটপাট করা বা জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আজ পর্যন্ত কোনো শাস্তি হয় নি, যে কারণে এই ধরণের জেহাদি কার্যকলাপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। হিন্দুরা এখনি জেগে না উঠলে, সংঘবদ্ধ না হলে সামনে সমূহ বিপদ।”


