‘অভয়ার মা যতক্ষণ চাইবেন, আন্দোলন চলবে, আমরা রাস্তায় থাকব’: হুঙ্কার শুভেন্দুর

suvendu adhikari sit on road

আর জি কর চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৯ আগস্ট শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। এই প্রতিবাদ মিছিলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির একাধিক বিধায়ক ও নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন (suvendu adhikari sit on road)।

Advertisements

পথে নেমে মিছিল ডোরিনা ক্রসিং থেকে পার্ক স্ট্রিটের দিকে যাত্রাকালে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়। পুলিশি বাধার প্রতিবাদে পার্ক স্ট্রিটের ফ্লাইওভারের নিচে বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পালসহ বিজেপির বিধায়করা। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলে নেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দুর দাবি, “আমাদের বিধায়কদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। নির্যাতিতার বাবা-মাকেও পুলিশি হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “এ অবস্থা যতক্ষণ আরজি করের পরিবার চাইবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে। পুলিশি অত্যাচার চলতে থাকবে, কিন্তু আন্দোলন থামবে না।”

তিনি প্রশ্ন করেন, “মনের ভার্মার পুলিশের হাতে কী হয়নি? একটিও বিজেপির পতাকা ছিল না আমাদের হাতে, অথচ ১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। তাদের রেলের হাসপাতালে রাখা হয়েছে।”

Advertisements

বিজেপির পক্ষ থেকে এ অভিযোগ জানানো হয়েছে যে, নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশি আচরণ ছিল অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও অবাঞ্ছিত। বিধায়ক-সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ বাধা দেয়ায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহল জোরালোভাবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, সরকারই এই বঞ্চনা ও হেনস্থার জন্য দায়ী। পাশাপাশি আন্দোলন অব্যাহত রেখে বিচারপ্রক্রিয়ায় ত্বরান্বিত গতি আনার দাবি জানানো হয়েছে।

আরজিকর তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি গত বছর ৮ আগস্টের রাতে ঘটে। তখন থেকে এই ঘটনার সুবিচার ও তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বেসরকারি ও রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ২০২৪ সালের এই স্মরণীয় দিনে আন্দোলনকারীরা এই যন্ত্রণা ভুলতে নারাজ বলে সপ্রতিভ দাবি তুলেছেন।