“বাংলার সাহিত্য সমাজ, তুমি চেতনা হারাইয়াছ?” মমতাকে পুরষ্কারে কটাক্ষ শুভেন্দুর

পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির ‘রিট্রিভার্সিপ’ পুরস্কার পাওয়া ‘কবি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফেসবুক পোস্টে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।     তিনি ফেসবুকে লেখেন, “সাহিত্য সম্রাট…

Suvendu Adhikari criticizes Mamata Banerjee for receiving Academy Award

short-samachar

পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির ‘রিট্রিভার্সিপ’ পুরস্কার পাওয়া ‘কবি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফেসবুক পোস্টে খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

   

তিনি ফেসবুকে লেখেন, “সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজ আমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকলে হয়তো লিখতেন:
“বাংলার সাহিত্য সমাজ, তুমি চেতনা হারাইয়াছ?”
মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মাননা দেওয়ার তীব্র প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন অনেকে। বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি গবেষিকা রত্না রশিদ ব্যানার্জি তাঁর বাংলা একাডেমির সম্মাননা ফেরত দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

সাহিত্য সাধনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর ‘কবিতা বিতান’ বইয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির বিশেষ পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে। যদিও মঞ্চে উপস্থিত থাকলে সেই পুরস্কার গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের ঘোষণার পর পুরষ্কার তুলে নেওয়ার জন্য ব্রাত্য বসুকে নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি যাঁরা নিরলস সাহিত্য সাধনা তথা সারস্বত সাধনা করে চলেছেন, তাঁদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা আকাদেমি। প্রথম বছর বাংলার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের মতামত নিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “ইতিহাস যখন একটি সভ্যতার বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করে কয়েক শতাব্দী পরে, তখন তাতে উল্লেখ থাকে না কোন উকিল, ব্যবসায়ী, কেরানি কত বড় অবদান রেখেছিলেন। আতস কাঁচের তলায় দেখা হয় কবি, সাহিত্যিক, ভাস্কর, চিত্রকর, শিল্পীদের কাজ। বাঙালি তো এই জায়গায় শ্রেষ্ঠ।শিল্প কলা সংস্কৃতিতে মুনশিয়ানাই তো আমাদের পরিচয় বিশ্বের কাছে। সেই অহংবোধ কিনা রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনে ধূলিসাৎ হলো। বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত ! ধিক্কার জানাই তাদের যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত”।