খগেন মুর্মু-শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা! বাগডোগরা পৌঁছে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুভেন্দু-কিরণের

Advertisements শিলিগুড়ি: বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক ড. শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি৷ মঙ্গলবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে…

Suvendu Adhikari and Kiren Rijiju in Bagdogra

Advertisements

শিলিগুড়ি: বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক ড. শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি৷ মঙ্গলবার দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর সঙ্গে মিরিকের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে কথা বলেন সাংবাদিরকদের সঙ্গে। খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষের উপর হামলাকারীরা কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি—এই অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বিরোধী দলনেতা৷ 

   

অভিযুক্ত কাউকে আটক করা হয়নি

শুভেন্দু সাংবাদিকদের বলেন, খাগড়াবাড়ি ও নাগরাকাটা এলাকায় সংঘটিত হামলার পরেও অভিযুক্ত কাউকে আটক করা হয়নি, যা উদ্বেগজনক। তিনি জানান, বন্যা-বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং মাটিগাড়ার বেসরকারি হাসপাতালে জখম সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “গ্রেফতার না হলে যা করার প্রয়োজন, আমরা করব৷’’ আপাতত পুলিশি পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন বলেও জানান শুভেন্দু।

এদিন মিরিক যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও, তা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, আি খবর পেয়েছি রাস্তা ওয়ানওয়ে করে দেওয়া হয়েছে৷ আমরা পৌঁছতে পারব কিনা জানি না৷ তবে যাওয়ার চেষ্টা করব৷’

মিরিক যাচ্ছেন রিজিজু Suvendu Adhikari and Kiren Rijiju in Bagdogra

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে মিরিক এসেছেন। স্থানীয় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, সাংসদ ও বিধায়কের উপর যে হামলা ঘটেছে, তার রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে চাওয়া হয়েছে। “নিয়ম মেনে তদন্ত করা হবে। শুধু সাংসদ-বিধায়কের নয়, সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব৷’’

রিজিজু আরও বলেন, এই  ঘটনায় গণতন্ত্রের ওপর গুরুতর প্রভাব পড়েছে। তাই দ্রুত এবং সচ্ছভাবে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তিনি জানান, দুর্যোগস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি সব ক্ষয়ক্ষতি ও ঘটনার রিপোর্ট উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হবে। 

উদয়ন গুহকে চা 

সুর চড়িয়ে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আমি খবর পেয়েছি তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকে ‘চা’ খাওয়ানো হয়েছে। কারণ কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি ও নাগরাকাটাতেই বিজেপি নেতাদের উপর হামলা হয়েছে৷ এখানে এক সাংসদ তথা ট্রাইবাল নেতার উপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে৷ অন্যদিকে, শঙ্কর ঘোষ একজন বিধায়কের পাশাপাশি শিক্ষক৷ তাঁকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়েছে। অথচ উনি কোনও নিন্দা করেননি৷ গ্রেফতারের নির্দেশ দেননি৷ শুধু বলেছেন, এমন ঘটনা যাতে আর না হয়৷’’

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে কাউকেই গ্রেফতার করা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন, রাজ্য ও কেন্দ্র তিন স্তরে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই শুরু করেছে। গ্রেফতার না হওয়ায় রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং পুলিশি রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।