সন্দেশখালি মামলা: ফের মুখ পুড়ল মমতা সরকারের! সুপ্রিম কোর্টে খারিজ সিবিআই তদন্তের চ্যালেঞ্জ

সন্দেশখালি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায়কে বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল মমতা সরকার।…

supreme court rejected wb government appeal against cbi investigation on sandeshkhali case , ফের মুখ পুড়ল মমতা সরকারের! সুপ্রিম কোর্টে খারিজ সিবিআই তদন্তের চ্যালেঞ্জ

সন্দেশখালি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায়কে বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল মমতা সরকার। রাজ্যের সেই আর্জিই খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। ৪৩টি মামলারই তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, যেখানে সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের এত অভিযোগ উঠেছে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, সেখানে কেন রাজ্য সরকার আলাদা করে কেন সিবিআই তদন্ত বন্ধে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাহলে কি কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে রাজ্য?

   

চলতি বছরের শুরুতেই সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য়জুড়ে শোরগোল পড়ে। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি-র আধিকারিকরা অভিযানে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, শেখ শাহজাহানের অনুগামী স্থানীয় বাসিন্দারা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মারধর করে। মাথা ফাটে ইডি গোয়েন্দারা। এরপর আরও ভয়ঙ্কর অভিযোগ সামনে আসে। গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মা, বোনেরা। অভিযোগ ছিল যে, শেখ শাহজাহান বাহিনী জমি দখল, নারী নির্যাতনকরত এলাকার মহিলাদের। বাঁশ, লাঠি, গাছের গুঁড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেন গ্রামের মহিলারা। রাস্তায় জ্বলে আগুন।

সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতন এবং জমি দখল করার অভিযোগ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের তরফেও প্রশ্ন উঠেছিল যে, এতদিন হয়ে যাওয়ার পরও কেন শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না? হাইকোর্টের নির্দেশের পরই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার।

গত ২৯ এপ্রিল সেই মামলাই সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। যদিও সে সময় রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘি জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালি মামলায় বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে, সেইসব জমা করতে ২-৩ সপ্তাহ সময় লাগবে। সে সময়টুকু শুনানি মুলতুবি রাখা হোক। সেই আবেদন মেনে তদন্ত প্রক্রিয়া যাতে কোনওভাবে ব্যাহত না হয় সেই নির্দেশ দেন বিচারপতি গাভাই। 

তবে এ দিন সন্দেসকালি মামলার তদন্তে সিবিাই তদন্তের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।