গোহারা হেরে দলের জব্দ হয়েছে জামানত, তবুও ভাবিত নন শুভেন্দু

পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে (West Bengal By election 2024) বড় ধাক্কা খেল বিজেপি (BJP)। একটি আসনেও জিততে পারেনি দলটি। এমনকি মাদারিহাটের মতো নিজেদের শক্তঘাঁটির…

Subhendu Adhikery remarks on BJps performence in west bengal By election 2024

পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে (West Bengal By election 2024) বড় ধাক্কা খেল বিজেপি (BJP)। একটি আসনেও জিততে পারেনি দলটি। এমনকি মাদারিহাটের মতো নিজেদের শক্তঘাঁটির আসনটিও ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। সিতাই এবং হাড়োয়া বিধানসভা আসনে বিজেপি প্রার্থীদের জামানত পর্যন্ত জব্দ হয়েছে।  

মেদিনীপুরে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা, শুভেন্দু গড়েই ফুটল ‘জোড়া ফুল’

   

উপনির্বাচনের এই ছয়টি আসনে ভোট গণনার ফলাফলে তৃণমূল কংগ্রেস একচেটিয়া জয় দেখিয়েছে। বিজেপি একদিকে যেমন নতুন কোনও আসন দখল করতে পারেনি, তেমনই নিজেদের দখলে থাকা মাদারিহাট আসনটিও হাতছাড়া হয়েছে।

সিতাই এবং হাড়োয়ার মতো অঞ্চলে বিজেপি প্রার্থীদের জামানত জব্দ হওয়ার ঘটনা দলীয় নেতৃত্বের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর। এই ফলাফলে স্পষ্ট, রাজ্যের গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চলে বিজেপির জনপ্রিয়তা ক্রমশ তলানিতে ঠেকছে।

এই ব্যর্থতার মধ্যেই বিজেপির রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, উপনির্বাচনের ছয়টি আসনে জয়ের বিষয়ে বিজেপির বিশেষ কোনও পরিকল্পনা ছিল না। বরং, তাঁদের লক্ষ্য ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন।

শুভেন্দু বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন। এই উপনির্বাচন নিয়ে আমরা বিশেষ ভাবিনি। এখন থেকে সংগঠন গুছিয়ে নেওয়ার কাজ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন ‘নির্বাচনমুখী সংগঠন’ এবং ‘আন্দোলনমুখী মোর্চা’ গড়ে তোলা। হাতে আর মাত্র এক বছর সময় রয়েছে। এখন থেকেই পরিকল্পনা শুরু করতে হবে।” 

“অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুল গান্ধীর থেকে ভাল নেতা”: দিলীপ মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা

মাদারিহাট বিজেপির কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা আসন ছিল। তবে এবার এই আসনে বিজেপির পরাজয় হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং স্থানীয় স্তরে প্রার্থীর প্রতি অনাস্থা বিজেপির ভরাডুবির অন্যতম কারণ।

শুভেন্দু এই প্রসঙ্গে বলেন, “মাদারিহাটে যে ফল হয়েছে, তা দুঃখজনক। তবে এটি সাময়িক। আসন্ন নির্বাচনে আমরা এই ধরনের ভুল শুধরে নেব।” 

বিজেপি রাজ্যে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেলেও, পরবর্তী সময় থেকে তাদের সংগঠনে ভাঙন এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যা বাড়তে থাকে।

বিজেপির অনেক নেতা ও কর্মী তৃণমূলে ফিরে গেছেন। এতে সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়েছে।তৃণমূলের শক্তিশালী সংগঠন এবং উন্নয়নমূলক প্রচারের সামনে বিজেপি কার্যকর কৌশল দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।গ্রামীণ ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়া তাদের আরও পিছিয়ে দিয়েছে। 

রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ‘মিষ্টি’ সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

তৃণমূল কংগ্রেস এই উপনির্বাচনে একচেটিয়া জয়লাভ করে দেখিয়েছে যে, রাজ্যের রাজনৈতিক মঞ্চে তাদের শক্তি এখনো অটুট। তৃণমূলের উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং অভিজ্ঞ নেতৃত্ব মানুষের সমর্থন অর্জনে সহায়তা করছে।

বিজেপি যেখানে তাদের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে তৃণমূল তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে।