কলকাতাঃ উপনির্বাচনে চার আসনে গো-হারা হেরে রাস্তায় ধর্ণায় বসলেন শুভেন্দু। রবিবার এই ধর্ণা হলেও এটি ছিল পূর্বন নির্ধারিত কর্মসূচি। ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারদের নিয়ে রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্ণায় বসলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হিংসায় আক্রান্ত প্রায় ৩০০ জন কর্মী সমর্থক এই ধর্ণা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর ‘উধাও’ শুভেন্দু অধিকারী’
সকাল ১০ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত চলবে এই পূর্ব নির্ধারিত ধর্ণার কর্মসূচি। এদিন রাজভবন চত্বরে মঞ্চ খাঁটিয়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন লোকসভা ভোটে মেদিনীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল, বিধায়ক অশোক দিন্দা, অর্জুন সিং এবং প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়। সভামঞ্চে জমায়েত করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ঘরছাড়া কর্মীরাও ভিড় জমিয়েছেন ধর্ণা মঞ্চে।
ভোটে হারলেও ‘প্রথম স্থান’-এ রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত
আজ ১৪ জুলাই রাজভবনের সামনে বিজেপিকে ধর্ণায় বসার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মীদের নিয়ে গত মাসেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেদিন প্রথমে তাকে আইনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে রাজভবনে প্রবেশ করতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন তিনি।
সকাল সকাল সুখবর, মাত্র ৮২ টাকায় মিলছে এক লিটার পেট্রোল
রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে বিজেপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তাদের আপত্তি নেই। তবে দুপক্ষের মামলা শোনার পরেই আদালত ঠিক করেছিল ৭ জুলাইয়ের পর কোন এক রবিবার চার ঘন্টার জন্য ধর্নায় বসতে পারবেন শুভেন্দুরা। সেই মতো আইনশৃঙ্খলা জনিত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যকে। গতকাল সেই রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। তারপরেই শুভেন্দুদের ধর্ণার অনুমতি দেয় আদালত।