“আমি সাংগঠনিক ব্যাপারে কোনওদিন হস্তক্ষেপ করি না”, দলের বিপর্যয়ে সাফাই শুভেন্দুর

লোকসভা ভোটে বাংলায় ভরাডুবির পর ছন্নছাড়া গেরুয়া শিবির। এবার সেই হার নিয়েই মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিমান ভরা গলায় তিনি বলেন,”জিতলে নিজেরাই ক্রেডিট দেন, আর…

Subhendu Adhikary

লোকসভা ভোটে বাংলায় ভরাডুবির পর ছন্নছাড়া গেরুয়া শিবির। এবার সেই হার নিয়েই মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিমান ভরা গলায় তিনি বলেন,”জিতলে নিজেরাই ক্রেডিট দেন, আর হারলে আমার দোষ।” তাঁর এই মন্তব্যেই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বিতর্ক। হারের ময়নাতদন্ত চলাকালীন রাজ্য নেতৃত্বের থেকে এই ধরনের মন্তব্য বেকায়দায় পদ্ম শিবির।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন,” আমি সাংগঠনিক ব্যাপারে কোনওদিনই হস্তক্ষেপ করি না। আর ভবিষ্যতেও সংগঠনের ব্যাপারে নাক গলাব না। বিজেপির রাজ্যে অফিস থেকে প্রার্থী ঠিক করলে প্রচারে যাই।” আমি সরকারি গাড়ি চড়ি না, নিজের গাড়িতে তেল পুরিয়ে প্রচারে যাই প্রার্থীর জন্য। ভবিষ্যতেও হস্তক্ষেপ করিনা। মালদাতে গিয়ে নিজের পয়সায় হোটেলে ছিলাম।” শুভেন্দুর যখন এই মন্তব্য করেছেন তখন রাজ্যে বিজেপির একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই হারের সাফাই গেয়ে রেখেছেন।

   

আর ঘুরিয়ে দোষ চাপিয়েছেন মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের ওপরেই। তাই আর রাগ-ঢাক গুরগুর নয়, দলের মধ্যে বাড়তে থাকা চাপা অসন্তোষই হয়তো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। তবে এই অভিমানের সুর দলে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকমহল।

আগামী ১০ জুলাই রাজ্যের চার বিধানসভা আসনে রয়েছে বিধানসভা উপনির্বাচন। তার আগে দলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদল চাইছে গেরুয়া শিবির। বদল হতে পারে বুথস্তর থেকে মন্ডলস্তরের নেতৃত্বের। ইতিমধ্যেই মানিকতলা উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে প্রস্তুতি জোরদার শুরু করেছে তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে ফের সন্মুখসমরে নামার আগে যেন কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছে গেরুয়া শিবির।

৪ঠা জুন ভোটের ফলাফল বেরোতেই একে একে মুখ খুলতে থাকেন রাজ্যে বিজেপি নেতারা। দিলীপ ঘোষ থেকে অগ্নিমিত্রা পাল, সৌমিত্র খাঁ থেকে রানাঘাটের সাংসদ প্রার্থীর পেছনে ‘কাঠি করার তত্ত্ব’কেই একরকম সমর্থন করেন। তবে দলীয় নেতৃত্বের থাকা কারও না উল্লেখ না করলেও কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁদের নিশানার লক্ষ্যই শুভেন্দু অধিকারী। গত ৭ জুন দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাংলার বিপর্যয় নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শুভেন্দু-সুকান্তকে। এমন পরিস্থিতিতে সেনাপতির মুখে অভিমানের সুর আসন্ন উপনির্বাচনে দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।