অখিল গিরির শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক সুবল মান্না

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথি: কাঁথি পুরসভা পুরপ্রধানের পথ খুঁইয়ে কার্যত রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে এক হাত নিলেন প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বর্ষীয়ান কাউন্সিলর সুবল কুমার মান্না। দলেরই…

নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথি: কাঁথি পুরসভা পুরপ্রধানের পথ খুঁইয়ে কার্যত রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে এক হাত নিলেন প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা বর্ষীয়ান কাউন্সিলর সুবল কুমার মান্না। দলেরই মন্ত্রীর শিক্ষাদিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ প্রাক্তন পুরপ্রধান৷ শুধু তাই নয় লোকসভা ভোটেই মানুষ বুঝিয়ে দেবে এমনই হুংকার দেন দলের বিরুদ্ধে।

প্রাক্তন পুরপ্রধানের এমন বক্তব্যের পর রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রাক্তন পুরপ্রধানের এই দলীয় নেতৃত্ব থেকে মন্ত্রীর উপর ক্ষোভ প্রকাশের পর আদৌ কি লোকসভা পর্যন্ত তিনি তৃণমূলে থাকবেন? সুবলে তৃণমূলের স্বায়িত্ব বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে! যদিও প্রাক্তন পুরপ্রধানের বক্তব্যে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূল নেতা থেকে রাজ্যের মন্ত্রীর। তৃণমূলের ঘরোয়া কোন্দল নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে মাঠে নামতে চলেছে পদ্ম শিবির।

এদিন প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবল কুমার মান্না বলেন, “আমরা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছি। হাইকোর্ট যা রায় দেবে সেটা মাথা পেতে নেব। কেউ যদি হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা না দিয়ে সেটা করে আমার কিছু করার নেই।’’ যদিও বিগত দিনে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে নিয়ে বক্তব্যে অনড় প্রাক্তন পুরপ্রধান ও বর্ষীয়ান কাউন্সিলর সুবল কুমার মান্না।

তিনি দাবি করে বলেন, “আমি আমার গুরুদেবকে (কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী) একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রণাম করেছি। সেটা কোন দলীয় মঞ্চ ছিল না। একটি স্কুলে অনুষ্ঠানে গিয়ে শিশির অধিকারীকে প্রণাম করেছি, তিনি এখন দলের এমপি৷”

নাম না করে রাজ্যের কারাদফতরে মন্ত্রী অখিল গিরিকে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেন। সুবলের দাবি, “তাঁকে প্রণাম করাতে যদি দল বিরোধী কার্যকলাপ হয়, যারা আজকে বলছে তাদের জ্ঞান ধ্যান ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাদের বাবা ও মা কতটা শিক্ষাদিক্ষা দিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমি হাইকোর্টের রায়টা দিয়েছি, মন্ত্রী ঠিক বলছে না আমি ঠিক বলছি, পড়ে দেখুন? আদালতের পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি৷”

তাঁর কথায়, “দলবিরোধী কাজ করেছি বলে আমার মনে হচ্ছে না। আমি ১৫ টি মামলা করেছি অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে। তখন দল বিরোধী হয় না। তখন কারোও বুকের পাটাও ছিল না। তিনিও তো (রাজ্যের কারা দফতরের মন্ত্রী অখিল গিরি) মঞ্চে গিয়ে তিনি যার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন বিজেপি নেতা সঙ্গে ফুসফুস করেছিল। দল দেখতে পায় না, বড়কর্তারা দেখতে পায় না৷”

আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রসঙ্গ টেনে এনে সুবলের দাবি, “কাঁথিতে অনেক নেতা ও মন্ত্রী আছে। একটা দলের পুরপ্রধান’কে সরিয়ে আতশবাজি ফাটানো ও আবির মাখা হচ্ছে। মানুষের কাছে কতটা গ্রহনযোগ্য তার লোকসভা নির্বাচনে মানুষ বলবে৷”

এই বিষয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র বলেন, “গোয়াল ঘরে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আমরা বলছি না দলেরই নেতারাই বলছে। লোকসভা নির্বাচনে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে৷”