চাকরি প্রার্থীদের টাকায় পেল্লায় বাড়ি বানিয়ে পালিয়েছে বহু TMC নেতা

প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি এবং গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু টাকা তুলেছিলেন তৃণমূল নেতারা। কেউ জমি বিক্রি করে, কেউ…

mamata-car

প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি এবং গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু টাকা তুলেছিলেন তৃণমূল নেতারা। কেউ জমি বিক্রি করে, কেউ গয়না বিক্রি করে, কেউ সুদে টাকা নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছে ওই (TMC) তৃণমূল নেতাদের৷ কিন্তু চাকরি পাননি বহু। তাই এখন টাকা পেতেই তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হানা দিচ্ছেন প্রতারিত চাকরি প্রার্থীরা। এখন সেই তৃণমূল নেতাদের পেল্লাই বাড়ি দেখে চোখ কপালে উঠেছে। টাকা না দিতে পেরে ফেরার বহু নেতারা৷ জেলায় জেলায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ তাঁরই ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি কালো টাকা বের হওয়ার পরেই সেই সমস্ত নেতাদের এখন টিকি মিলছে না।

   

অভিযোগ, কারোর কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা, কারোর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন এই তৃণমূল নেতারা৷ কিন্তু কারোর চাকরি হয়নি। নিয়ম করে প্রতিদিন বাড়িতে উপস্থিত হচ্ছেন প্রতারিতরা৷ হয়রানি থেকে মুক্তি পেতেই বাড়িছাড়া হয়েছেন বহু তৃণমূল নেতা।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস বর্ণিত সৎ রঞ্জনের কথা সকলের জানা৷ চাকরি দেওয়ার নাম করে সেই সৎ রঞ্জন কোটি কোটি টাকা নিতেন এবং চাকরি না দিতে পারলে সেই টাকা ফেরত দিতেন তিনি৷ কিন্তু ঘরছাড়া তৃণমূল নেতাদের মন্তব্য, তাঁরা যে টাকা পেয়েছেন, উঁচু স্তরের নেতাদের পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ চাকরি পাইয়ে দেওয়া তাঁদের হাতের বিষয় ছিল না। এখন জমি বাড়ি সমস্ত কিছু বেচে টাকা দিতে রাজি তাঁরা।

বারবার শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে তদন্তে নেমে একটি চেইনের কথা বারবার জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ একেবারে এজেন্ট থেকে নেতা মন্ত্রী সকলের এতে ফিক্সড রেট ছিল বলে জানা গেছে৷ এমনকি একই কথা ইডির কাছেও অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর৷ সকলের কাছেই ভাগ চলে যেতে বলে ইডিকে জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ১০০ জনের নামের তালিকা তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ১০০-র বেশি বিধায়ক এবং তৃণমূলের তোলাবাজের নাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছি যাঁরা গোটা বাংলায় টাকা তোলার র‌্যাকেট চালায়। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে গ্রিন করিডর বানিয়ে ভাইপোর বাড়ি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পাঠিয়েছেন। উনি আমায় কথা দিয়েছেন, এই দুর্নীতির পূর্ণ তদন্ত হবে। 

সিপিআইএমের অভিযোগ, তৃণমূলের রোজগার মূলত ঘুষ ও তোলাবাজির টাকায়। সুযোগ বুঝে তারাই বিজেপি হয়ে যায়।