SSC মামলায় ভাতা স্থগিতাদেশ চ্যালেঞ্জ, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে নবান্ন

কলকাতা: এসএসসি কেলেঙ্কারির জেরে চাকরি হারানো প্রার্থীদের মাসিক ভাতা দেওয়া নিয়ে ফের আইনি লড়াইয়ের পথে রাজ্য। বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে ভাতা প্রদান সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে…

Kolkata High Court suicide attempt

কলকাতা: এসএসসি কেলেঙ্কারির জেরে চাকরি হারানো প্রার্থীদের মাসিক ভাতা দেওয়া নিয়ে ফের আইনি লড়াইয়ের পথে রাজ্য। বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চে ভাতা প্রদান সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর সেই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার (ssc allowance case filed in division bench)।

রাজ্যের দাবি, চাকরি খোয়ানো প্রার্থীরা দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের সামাজিক মর্যাদা ও ন্যূনতম জীবনযাত্রা বজায় রাখতেই ভাতার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় কোনও স্কিম নয়, এটা রাজ্যের নিজস্ব নীতিগত সিদ্ধান্ত। ফলে সেই অধিকার রয়েছে সরকারের।

   

সুপ্রিম কোর্টে চাকরি পুনর্বহালের রিভিউ পিটিশনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের জন্য সাময়িক আর্থিক সহায়তার কথা ভেবে মাসিক ভাতার ঘোষণা করেছিল নবান্ন। সিদ্ধান্ত ছিল, গ্রুপ সি কর্মীদের ২৫ হাজার এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ২০ হাজার টাকা করে মাসে দেওয়া হবে।

তবে এই ঘোষণার বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্টে থাকা একাংশ চাকরিপ্রার্থী, যাঁরা নিজেদের প্রকৃত চাকরিপ্রার্থী বলে দাবি করেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা ওঠার পর, তিনি প্রশ্ন তোলেন, চাকরিহারারা কেন ভাতা পাবেন, আর বাকি বেকার প্রার্থীরা কেন নয়? সেই যুক্তিতে তিনি ভাতা প্রদান স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisements

এই পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে রিট পিটিশন দাখিল করেছে। আইনজীবী মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি-কে রুল তৈরির অধিকার স্বীকার করেছে। ফলে নিয়োগ ও পুনর্বহালের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করছে তারা।

আইনজীবী মহলের মতে, ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি গেলে ভাতার নৈতিকতা, নীতিগত যুক্তি এবং সংবিধানিক বৈধতা নতুন করে আলোচনায় আসবে। এখন দেখার, উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ কী অবস্থান নেয়।