‘উপদল’ তাড়া করে বেড়াচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। বৈঠকে তাঁর দেওয়া বার্তার পর এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ তিনি নিজেই তৃণমূল গড়েছিলেন কংগ্রেস ভেঙে। “দলের মধ্যে কেউ উপদল করার চেষ্টা করবেন না। অনেক কষ্টে দলটা তৈরি করেছি”, বলেছেন নেত্রী।
সম্প্রতি ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে স্পষ্ট হয়েছিল বিভাজন। কে কার নেতৃত্বে রয়েছেন সে ব্যাপারেও উঠেছিল প্রশ্ন। দেবাংশু ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মদন মিত্ররা বাজার গরম করেছিলেন। শেষে বিবৃতি দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর পরিস্থিতি ঠান্ডা। তখনও কিছু জানাননি মমতা।
তিনি বলেছেন অবশেষে। বললেন এবং আরও জল্পনার জন্ম দিলেন বলে মনে করছেন অনেকে। সামনেই তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। রয়েছে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, রাজ্যের পুরনির্বাচন। রাজনীতির নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাতপর্যপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
“পার্টিটা অহঙ্কার করার জায়গা নয়। দলটা গা জোয়ারি করার জায়গাও নয়। আমি শেষ কথা, একথা বলার জায়গা নেই আমাদের দলে… এই দলটাকে কোনও মতেই অন্য কারও কাছে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। আমি এ ব্যাপারে খুব রাফ অ্যান্ড টাফ।”
রাজ্য রাজনীতি সম্পর্কে যারা একটু ওয়াকিবহাল তাঁরা জানেন যে তৃণমূল তৈরিই হয়েছিল দল ভেঙে। কান্ডারী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্ররা তাঁর দীর্ঘ দিনের সঙ্গী। যার মধ্যে মদন বেসুরো। রয়েছে নিজস্ব ফ্যান বেস। অভিষেকের নিজস্ব জনসমর্থন তৈরি হয়েছে হালে। অতীতকে জানেন মমতা, তাই বুঝছেন ‘উপদল’-এর মর্ম। মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।