চন্দননগর: জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja) মানেই আলোর উৎসব, ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা এবং হাজারো মানুষের ঢল। প্রতি বছর এই সময় শহরের রাস্তায় উপচে পড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়। ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও যাত্রীদের সুবিধার জন্য পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ডিভিশন এবার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০২৫ সালের জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে একাধিক বিশেষ ট্রেন এবং বেশ কিছু নিয়মিত লোকাল ট্রেনের সময়সূচিতেও আনা হয়েছে বড়সড় পরিবর্তন।
২৮ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ পরিষেবা। হাওড়া, ব্যাণ্ডেল, বর্ধমানসহ একাধিক রুটে বিশেষ ট্রেন চালানো হবে যাতে পুজো দর্শনার্থীরা সহজে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।
হাওড়া–ব্যান্ডেল রুটে বিশেষ ট্রেন পরিষেবা:
হাওড়া থেকে ব্যাণ্ডেলের দিকে ২৮ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন চালু থাকবে পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন।
হাওড়া থেকে ছাড়বে যথাক্রমে সন্ধ্যা ৫:২০, রাত ৭:৫৫, রাত ৮:৩৫, রাত ১১:৩০ এবং গভীর রাত ১২:৩০-এ।
ব্যাণ্ডেল থেকে হাওড়ার দিকে ফিরতি ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যা ৬:৩৫, রাত ৯:২০, রাত ৯:৫৫, রাত ১:০০ এবং রাত ২:০০-এ।
এই ট্রেনগুলো সমস্ত মধ্যবর্তী স্টেশনে থামবে, যেমন চুঁচুড়া, চন্দননগর, মানকুন্ডু, ভদ্রেশ্বর, বৈদ্যবাটি, শ্রীরামপুর, রিষড়া, কোন্নগর, হিন্দমোটর, উত্তরপাড়া, বালি, বেলুড় ও লিলুয়া।
হাওড়া–বর্ধমান রুটে বিশেষ ট্রেন:
একটি বিশেষ হাওড়া–বর্ধমান ট্রেন ছাড়বে রাত ১:১৫ মিনিটে, এবং বর্ধমান থেকে ফিরতি ট্রেন ছাড়বে রাত ১০:৩০-এ।
এছাড়া, বিসর্জনের দিন অর্থাৎ ২ নভেম্বর হাওড়া থেকে ব্যাণ্ডেলের জন্য অতিরিক্ত একটি বিশেষ ট্রেন ছাড়বে ভোর ২:৩৫-এ এবং ব্যাণ্ডেল থেকে ছাড়বে সকাল ৪:০০-এ।
পরিবর্তিত ও বাতিল ট্রেন:
36087 হাওড়া–মাসগ্রাম লোকাল (হাওড়া প্রস্থান ১৯:২৭) ২৮ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধমান পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
36088 মাসগ্রাম–হাওড়া লোকাল একই সময়ে বাতিল থাকবে।
63501 হাওড়া–বর্ধমান লোকাল রাত ১:৪৫ মিনিটে ছাড়বে এবং ২৯ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত মধ্যবর্তী স্টেশনে থামবে।
আজিমগঞ্জ–হাওড়া প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেনও ব্যাণ্ডেল থেকে হাওড়া পর্যন্ত সমস্ত স্টেশনে থামবে।
পূর্ব রেলওয়ে জানিয়েছে, চন্দননগর ও হুগলি অঞ্চলের জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ে যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই বিশেষ ট্রেনগুলো চালানো হচ্ছে। উদ্দেশ্য হলো যাত্রী চাপ নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ যাতায়াত এবং দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা।
এই বিশেষ ব্যবস্থা শুধুমাত্র চন্দননগরবাসী নয়, কলকাতা, হাওড়া, ব্যাণ্ডেল ও বর্ধমানের যাত্রীদের জন্যও উপকারী হবে। পূজোর দিনগুলিতে যখন চন্দননগর আলোয় ভাসবে, তখন এই অতিরিক্ত ট্রেন পরিষেবা হবে উৎসবের এক অপরিহার্য অংশ।


