ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস? দক্ষিণে বর্ষা ঢোকার জিনক্ষণ জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস

প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। কিন্তু এবার মিলতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে চলেছে…

South Bengal Monsoon

প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা দক্ষিণবঙ্গবাসীর। কিন্তু এবার মিলতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত স্বস্তি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া দুটি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

ঘূর্ণাবর্তের হাত ধরে বর্ষা প্রবেশের ইঙ্গিত

বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের উপর একসঙ্গে দুটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়৷ একটি বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে, অন্যটি অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলসংলগ্ন অঞ্চলে। এই আবহাওয়ার সিস্টেম দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আনার পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

   

 কবে, কোথায়, কতটা বৃষ্টি? South Bengal Monsoon

সোমবার (১৭ জুন) দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। বাকি জেলাগুলি যেমন হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া প্রভৃতিতে হলুদ সতর্কতা সহ বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার (১৯ জুন) দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

১৫ জুন পেরিয়ে গেলেও বর্ষা আসেনি, এবার সেই অপেক্ষার অবসান

দেশে বর্ষা ঢোকার নির্ধারিত সময় ১ জুন। এ বছর বর্ষা ২৪ মে-তেই কেরলে প্রবেশ করেছিল। এরপর ২৯ মে উত্তরবঙ্গে বর্ষা পৌঁছে গেলেও দক্ষিণবঙ্গ এখনও পর্যন্ত থেকেছে তার বাইরে। সাধারণত ১৫ জুন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকে, কিন্তু এবার তার কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ফলে দিনের পর দিন আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিতে জেরবার দক্ষিণবঙ্গের মানুষ।

Advertisements

তাপপ্রবাহ নয়, এবার জলীয় বাষ্পে হাঁসফাঁস

গত কয়েকদিন ধরেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে জেঁকে বসেছে অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরম। কখনও তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও আর্দ্রতা ছিল অস্বাভাবিক মাত্রায়। আবহাওয়াবিদদের মতে, যতক্ষণ না বর্ষা পুরোমাত্রায় দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।