করোনা আবহেই রাজ্যে দ্বিতীয় দফার পুরভোট হওয়ার কথা রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি কর্পোরেশন নির্বাচন (SMC Election)। কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছে সবপক্ষ।
পুরনিগম নির্বাচনের ঠিক আগে বড় ঘোষণা করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানান, শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনে তারা তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করছেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শিলিগুড়ির ৪৭টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থন করছি। যদি আমাদের ডাকা হয়, তাহলে প্রচার করতে প্রস্তুত। পাহাড়ে রাজনৈতিক সমাধানের পর জিটিএ নির্বাচন হোক। তার আগে অবশ্যই পুরসভাগুলির নির্বাচন হোক।’
শিলিগুড়ি পুরনিগম বারবার শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁটা। এখানেই একমাত্র অ-তৃণমূল পুরবোর্ড ছিল। গত পুর বোর্ড বামফ্রন্টের দখলে যায়। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে মেয়র হয়েছিলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী ও মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। গত বিধানসভা ভোটে সিপিআইএমের অশোকবাবু পরাজিত হন। তবে টিএমসির দখলে আসেনি শিলিগুড়ি। এখানে জয়ী হয়েছেন অশোক শিষ্য বিজেপির শংকর ঘোষ। ফলে টিএমসি এখনও নিশ্চিত নয় এই পুরনিগম নিয়ে।
এই প্রেক্ষিতে মোর্চার তরফে সমর্থন আসায় দার্জিলিং জেলা টিএমসির স্বস্তি সূচক বাড়ছে। তবে টিএমসির বিশ্লেষণ অশোক ভট্টাচার্য জবরদস্ত নেতৃত্ব দেবেন ভোটে।
সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোর্খা নেতা বিনয় তামাং। শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনী আবহে তামাং এর তৃণমূলে যোগদান অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ হবে। নেপালিভাষীদের একাংশ ভোট শাসক দলের ঝুলিতেই পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোর্চা সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানান, ‘শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭টি আসনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থন জানাবে। আমাদের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের যোগাযোগও রয়েছে। তাই যদি তৃণমূল নেতৃত্ব চায়, মোর্চা নেতারা প্রার্থীদের হয়ে প্রচারও করবে। আমরা প্রস্তুত রয়েছি প্রচার করার জন্য। এছাড়া আমরা সকলকে বলে দিয়েছি, তৃণমূলকেই ভোট দেওয়ার কথা।’
সম্প্রতি নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে বামেরা। সেখানে যেমন শহরের রাস্তাঘাট, নিকাশির উন্নতি, নারী সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তেমনই কেন্দ্রের ‘ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের’ মতোই ‘ফিট শিলিগুড়ি’ তৈরিরও লক্ষ্য নিয়েছে বামেরা।