কালবৈশাখী বা ঘূর্ণিঝড়ের মরশুম শুরু হতে বেশ কিছুটা দেরি। সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় বঙ্গোপসাগরে। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম। এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। নাম সিত্রাং। মার্চের শেষেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।
২৩ মার্চের পরে ইন্দোনেশিয়ার বান্দা আচেহ-র কাছে তৈরি হবে এই ঘূর্ণিঝড়। এর অবস্থান হবে ভারত মহাসাগর এবং মালাক্কা প্রণালীর কাছে। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ১৫০ কিমি। অন্যান্য ঘুর্ণিঝড়ের মতোই প্রথমে নিম্নচাপ তৈরি হবে। পরে তা শক্তি সঞ্চয় করে রূপ নেবে ঘূর্ণিঝড়ের। ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান সাগর অতিক্রমণ করে বঙ্গোপসাগরের উপরে আসবে। যাত্রাপথে সিত্রাং আরও শক্তিসঞ্চয় করতে পারে। এরপর তা আছড়ে পড়বে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের উপকূলে। যদিও এর গতিপথ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি আবহবিদরা।
তবে সিত্রাংয়ের নিশ্চয়তা নিয়ে ধন্দে আবহবিদরা। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের জন্য স্থলভাগে যে তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়, পূর্ব ভারতে এখনও সেই তাপমাত্রা তৈরি হয়নি। মরশুমের আগে এমন অনেক ঝড় তৈরি হয়েছে অতীতেও। কিন্তু তা সমুদ্রেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্থলভাগ পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। তাই সিত্রাং নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।