ফের বিধ্বংসী আগুনের গ্রাসে শুশুনিয়া পাহাড়, পুড়ে ছাই বিস্তীর্ণ এলাকা

শুশুনিয়া পাহাড়ে ফের ভয়ঙ্কর আগুনের ঘটনায় পুড়ে ছাই বিস্তীর্ণ এলাকা। পাহাড়ের একটি বড় অংশ দাউদাউ করে জ্বলছে, এবং এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।…

shushunia-hill-devastating-fire

short-samachar

শুশুনিয়া পাহাড়ে ফের ভয়ঙ্কর আগুনের ঘটনায় পুড়ে ছাই বিস্তীর্ণ এলাকা। পাহাড়ের একটি বড় অংশ দাউদাউ করে জ্বলছে, এবং এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল আগুনের সূত্রপাত হয়, এবং রাতের মধ্যে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকা। এই পরিস্থিতিতে বন্যপ্রাণের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

   

বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে শুষ্ক ঝোপঝাড় ও গাছপালার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বহু ছোট-বড় প্রাণী পালানোর সুযোগ না পেয়ে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ে বসবাসকারী হরিণ, শিয়াল, খরগোশের মতো প্রাণীদের জীবন এখন সংকটে। এছাড়াও, স্থানীয় পাখি ও সরীসৃপেরও ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালেও শুশুনিয়া পাহাড়ে একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় আগুন পাহাড়ের বিস্তীর্ণ অংশে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তা নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৩-৪ দিন সময় লেগেছিল। বন দপ্তরের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষও সেই আগুন নেভাতে সাহায্য করেছিলেন। এবারও পরিস্থিতি অনেকটা একই রকম। তবে এখনও পর্যন্ত আগুনের সূত্রপাতের কারণ স্পষ্ট নয়। কেউ কেউ মনে করছেন, শুষ্ক আবহাওয়া এবং মানুষের অসাবধানতাই এর জন্য দায়ী হতে পারে।

বন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা পুরোদমে আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছি। তবে বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। আরও সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।” স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রতিবার আগুন লাগলেও প্রতিরোধের জন্য কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

শুশুনিয়া পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য এটি পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয়। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় পরিবেশবিদরা বলছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এই এলাকার বাস্তুতন্ত্রের অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। আপাতত সবার চোখ বন দপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের দিকে। আগুন নিয়ন্ত্রণে না এলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।