অভাবকে জয় করে NEET-এ সাফল্য শীতলকুচির হাফিজের 

ইচ্ছে থাকলে সবই হয়, কোনও বাঁধাই যে আটকাতে পারেনা তার প্রমাণ শীতলকুচির হাফিজ। অদম্য জেদ আর ইচ্ছাশক্তিকে পাথেয় করে এবছর সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় নজরকাড়া…

ইচ্ছে থাকলে সবই হয়, কোনও বাঁধাই যে আটকাতে পারেনা তার প্রমাণ শীতলকুচির হাফিজ। অদম্য জেদ আর ইচ্ছাশক্তিকে পাথেয় করে এবছর সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য পেল শীতলকুচি ব্লকের মধ্য গোলেনাওহাটি গ্ৰামের হাফিজ মিয়া।

অত্যন্ত হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হাফিজের এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি গোটা গ্ৰামের মানুষ। সামান্য কিছু কৃষি জমির মালিক হাফিজের বাবা আমিনুর মিয়া পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তিন ছেলে-মেয়েকে মানুষ করতে হিম-সিম খাওয়া আমিনুর রুটি রুজির টানে পাড়ি জমিয়েছেন সূদুর মহারাষ্ট্রে।

গোলেনাওহাটি জামে হাই মাদ্রাসায় হাফিজের প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু। এরপর হাফিজ ভর্তি হয় মালদায় অবস্থিত আল আমিন মিশনে। সাফল্যের পর হাফিজ সংবাদ মাধ্যমকে জানায় যে ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন সে মানুষের সেবা করবে, একজন ডাক্তার হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে। এবার NEET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তার এই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে।

সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৭২০এর মধ্যে হাফিজের প্রাপ্ত নম্বর ৬১০। অবিচল লক্ষ্য আর কিছু করার তাগিদ থাকলে যে অসম্ভবকে-ও সম্ভব করে তোলা যায়, মধ্য গোলেনাও হাটির হাফিজ তার অন্যতম উদাহরণ।

মধ্য গোলেনাওহাটির নিতান্ত সরল সাদা ছেলেটি আজ গোটা গ্ৰামের কাছে গর্ব। আত্মীয় পরিজন থেকে শুরু করে হাফিজের বন্ধু বান্ধব প্রায় প্রত্যেকেই হাফিজের এই সাফল্যে খুশি।

উল্লেখ্য, এবারের NEET পরীক্ষায় প্রায় ২০.৩৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, তার মধ্যে মাত্র ১১.৪৬ লক্ষ পরীক্ষার্থী সফল হয়েছে।

শীতলকুচির মতো সীমান্তবর্তী একটা প্রত্যন্ত গ্ৰাম থেকে হাফিজের এই লড়াই, হয়তো আরও অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে।