শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা (Poush Mela) এবার ৪ বছর পর ফিরছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের (Shantiniketan Trust) উদ্যোগে পূর্বপল্লির মাঠে হবে এবারের মেলা, যা শান্তিনিকেতনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ২০১৯ সালের পর প্রথমবার এই মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। গত সোমবার, বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক (meeting) অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যরা।
বৈঠকে ৬ দিনের মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ঠিক করা হয়েছে যে, মেলা শেষ হওয়ার পর দুদিনের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করতে হবে, যা গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুসরণে করা হবে। জেলা প্রশাসন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বোলপুর পুরসভা এবং শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদ মেলার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে, যার মধ্যে জল, বিদ্যুৎ এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ এই বৈঠকে অংশ নিয়ে বলেন, “বিশ্বভারতীর একাংশের কারণে গত ৪ বছর ধরে মেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তবে এবছর আমরা সবাই একযোগে কাজ করব এবং মেলার আয়োজন সফল করতে সহযোগিতা প্রদান করব।” তারা আরও জানান, এবছর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষই পৌষমেলা আয়োজন করবে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন, বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায়, বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যরা। তারা সবাই মেলার রীতি-ঐতিহ্য অনুসরণ করে আয়োজনে একযোগীভাবে কাজ করার কথা জানান।
এবারের পৌষমেলা শান্তিনিকেতনের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে অনুষ্ঠিত হবে। মেলার সময় শান্তিনিকেতনের পুরানো ঐতিহ্য, মাটির প্রদীপ, হস্তশিল্প এবং স্থানীয় খাবারের সঙ্গে মিলিত হয়ে শান্তিনিকেতনের আধ্যাত্মিক পরিবেশও উপভোগ করা যাবে। ৬ দিনের এই মেলার মাধ্যমে শান্তিনিকেতন আবার তার ঐতিহ্যকে ফিরে পাবে, যা বহু বছর ধরে মানুষের মনে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।