ভূপতিনগর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapore) সফরে কয়েক ঘণ্টার আগে বিপুল পরিবারে বাজি তৈরির মশলা ও বারুদ বাজেয়াপ্ত করল ভূপতিনগর থানার পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুর বিধানসভা ভূপতিনগরের মানিকজোড় গ্রামে উদ্ধার করল পুলিশ। এদিন পুলিশ গ্রামের বিভিন্ন বিপুল বাজি তৈরির মশলা ও বারুদ বাজেয়াপ্ত করে। শুধু তাই নয় কয়েকটি অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রও উদ্ধার করে। এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী আগমনের আগে এমন বোমা তৈরির মশলা ও বারুদ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এমনিতেই বোম ও বন্দুকে উত্তপ্ত থাকে ভূপতিনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত্রি পর্যন্তই ভগবানপুর বিধানসভা ভূপতিনগরের মানিকজোড় গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। যদিও পুলিশ আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। বিপুল পরিমাণে বাজি তৈরীর মশলা বারুদ বাজেয়াপ্ত করে।উদ্ধার বারুদ কয়েক’শ বোমা তৈরি হতে বলে পুলিশের অনুমান। দুর্ঘটনা এড়াতেই অভিযুক্তরাই রেখে ছিল অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রও। ভূপতিনগর থানার ওসি গোপাল পাঠক বলেন ” বাজী তৈরির মশলা, বারুদ ও অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে “।
এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতা প্রশান্ত পণ্ডা বলেন ” সামনেই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গেছে। তৃণমূলের অঞ্চলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই বোমা বন্দুকগুলি মজুদ করে রেখেছিল “। আরও বলেন ” গত কয়েকদিন আগে ভূপতিনগরে নাড়ুয়াভিলা’তে যে ঘটনা ঘটেছিল, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা জড়িত।তৃণমূলের বুথ সভাপতি তিনজন মারা গেল। পুলিশ প্রকৃত তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার জন্য অনুরোধ করছি “।
বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন শাসকদলের নেতৃত্বরা। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন ” লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা হতেই এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করার জন্যই সিপিএম থেকে বিজেপিতে স্থানান্তরিত হওয়া হার্মাদরা যুক্ত। পুলিশকে বলব প্রকৃত তদন্ত করে অভিযুক্তদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করতে “।
বস্তুত, গত ২২ সালে ৩ রা ডিসেম্বর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথিতে জনসভা আগে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগরের নাড়ুয়াভিলা গ্রাম। ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল।