নবজোয়ার কর্মসূচি (Sangyog Yatra) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ভোটদান কর্মসূচি ঘিরে তুঙ্গে উত্তেজনা। নবজোয়ার যাত্রায় ভোটদান কর্মসূচিতেও উঠল ছাপ্পার অভিযোগ। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সেই অভিযোগ করে বর্তমান ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে।
তাঁর অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে অন্য কাউকে বুথ সভাপতি সাজিয়ে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। বালি খাদান মালিকদের নেতা সাজিয়েও চলেছে ভোট লুঠ। পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই ঘিরে ফের সামনে এল শাসকদলের কোন্দল।
প্রসঙ্গত, গতকাল জামালপুরে ৮টি ব্লকের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্যে গোপন ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়। প্রাক্তন ব্লক সভাপতির অভিযোগ, পঞ্চায়েত স্তরের নেতা-নেত্রীদের ভোটই দিতে দেননি ব্লক সভাপতির অনুগামীরা। এই প্রসঙ্গে শাসকদলের জেলা নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
অপরদিকে, তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কার্যত স্বীকার করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জামালপুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বলেছিলেন, ‘দলে অনেক গোষ্ঠী, উপদল থাকতে পারে কারণ দল বড় হয়েছে। কিন্তু বুথ সভাপতিরা যাকে প্রার্থী করবে তাঁকে হারানোর ক্ষমতা কারও নেই।’
এই প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কটাক্ষ করে বলেন, ‘এটা তৃণমূলের হড়পা বান। যেখানেই উনি যাচ্ছেন, সেখানেই তৃণমূলের লড়াই সামনে আসছে। যাদেরকে সিপিএম নির্বাচনের সময় গুন্ডামির কাজে ব্যবহার করত, তাদের তৃণমূল নেতা বানিয়ে দিয়েছে।’
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বলতে পারত বখরার ভাগাভাগিতে লড়াই চলছে। কে তৃণমূল কর্মী সেটা ওরা খুঁজে পাচ্ছে না।