দুর্নীতিতে ডুবেও সন্দেশখালির ভরসা ঘাসফুল

সন্দেশখালি, (Sandeskhali) নামটা শুনলেই বঙ্গবাসীর মাথায় একটাই নাম আসে। সেই নাম হল শেখ শাহজাহান। একের পর এক দুর্নীতি। যৌন কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে হত্যা সমস্ত…

Sandeskhali

সন্দেশখালি, (Sandeskhali) নামটা শুনলেই বঙ্গবাসীর মাথায় একটাই নাম আসে। সেই নাম হল শেখ শাহজাহান। একের পর এক দুর্নীতি। যৌন কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে হত্যা সমস্ত কাজেই এই শাহজাহানের জুড়ি মেলা ভার। এতেও শেষ নয় রেশন দুর্নীতিতেও বেশ হাত পাকানো আছে শাহজাহানের। কিন্তু এ হেন সন্দেশখালির প্রান্তিক মানুষেরা এখনও ভরসা রাখছেন ঘাসফুলে।

এক্স হ্যান্ডেলের একটি ভিডিও বার্তায় সন্দেশখালির বাসিন্দাদের মুখে শোনা গেল দুর্নীতির পাহাড় গড়া সেই ঘাসফুল শিবিরেরই প্রশংসা।কারুর বক্তব্যে উঠে এসেছে মৎস চাষের উন্নতির কথা আবার কেউ বলেছেন লক্ষীর ভান্ডার, কন্যাশ্র্রীর মতো প্রকল্পের জেরেই আবার তারা চান তৃণমূল ক্ষমতায় আসুক। কিন্তু যখন এক প্রান্তিক মানুষকে গ্রামের ছেলে মেয়েদের সরকারি চাকরি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তার উত্তরে তারা জানান তৃণমূল সরকার চাল এবং রেশন দিচ্ছে। তাতেই খুশি সন্দেশখালির মানুষ।

   

আর কন্যাশ্রী, লক্ষীর ভান্ডারের মত প্রকল্পে পাওয়া যাচ্ছে টাকা। একজন বাসিন্দা অকপটে জানান এখনকার দিনে টাকা ছাড়া কিছুই নেই। সুতরাং যে সরকার টাকা দেয় সেই সরকার ই ভালো। এরপরেও কখনোই তাদের মুখে সন্দেশখালিতে একের পর এক ঘটে দুর্নীতির কথা শোনা যায়নি। শোনা যায়নি শেখ শাহজাহানের নাম।

শোনা যায়নি ২০১৯ সালে ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত হওয়া বিজেপি কর্মী দেবদাস মন্ডল, প্রদীপ মন্ডল এবং সুকান্ত মন্ডলের নাম। শোনা যায়নি রাতের অন্ধকারে গৃহস্থের বাড়িয়ে হানা দেওয়া তৃণমূল নেতাদের নাম। যারা ঘরের বৌদেরকেও রেহাই দেয়নি। তাদের উপর দিনের পর দিন শারীরিক নিগ্রহ করেছে। এই ভিডিও বার্তা দেখে তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নেটিজনেরা।

তারা বলেছেন এখনও গ্রামের প্রান্তিক মানুষের কাছে তৃণমূলই ভরসা। আবার অনেকে বলেছেন দিনের শেষে প্রান্তিক মানুষ গুলোকে টাকা দিয়ে ভুলিয়ে রেখেছে তৃণমূল। আবার কেউ কেউ সমালোচনা করেছেন পেট বড় বালাই। এই প্রান্তিক মানুষ গুলোর চিন্তা এদের রুটি রুজি। দুবেলা একটু খাবার।

Advertisements

ISL অচলাবস্থা কাটাতে ফেডারেশনকে বড় নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের

সামান্য টাকা যা দিয়ে সংসার নির্বাহ করা যায়। শুধুমাত্র শেখ শাহজাহান নিয়ে আলোচনা করলেই এদের খিদে মিটবে না। খিদে মিটতে গেলে খাবার দরকার ,দরকার টাকা। তাই এখনও সন্দেশখালি কিন্তু ভরসা রেখেছে ঘাসফুলেই।

অনেকেই মন্তব্য করেছেন ভোট গণতন্ত্র দিয়ে পেট ভরেনা। তাই রাজনীতির কথা বলে এইসব প্রান্তিক মানুষদের পেট ভরাতে পারবে না কেউ। তৃণমূলের রেশন, কম দামে চাল আর মৎস চাষের সুযোগই সন্দেশখালির মানুষের ভরসার জায়গা তৈরী করছে।