Calcutta High Court: সন্দেশখালির মাম্পির জামিন, ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের

   গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস। গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের…

sandeshkhali mumpi das bail calcutta high court, সন্দেশখালির মাম্পির জামিন, ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন হাইকোর্টের
  

গ্রেফতারির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস। গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে। বিচারপতির নির্দেশ, ব্যক্তিগত বন্ডে মামলাকারীকে অবিলম্বে হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৫এ ধারায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তা-ও স্থগিত থাকবে।

শুনানি চলাকালীন শুক্রবার মাম্পির গ্রেফতারি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। মাম্পির গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ১৯৫-এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। বিচারপতির প্রশ্ন, ‘ম্যাজিস্ট্রেট কী করেছেন? ১৯৫এ ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। তারপরও তিনি কী ভাবে এই নির্দেশ দিলেন? এমন গ্রেফতারের নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড কে? এই মামলাটি কোন অফিসার দেখছেন?’

   

রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি সেনগুপ্ত জানান, তাঁর মন্তব্য, ‘আপনারা হয়তো এই কোর্টকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশগুলি অন্তত মেনে চলুন। এভাবে কাউকে গ্রেফতার করাই যায় না।’

এক কথায়, মাম্পিকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মনে করছে উচ্চআদালত।

আগামী ১৯ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

এ দিন মাম্পির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে জানান, গত ৭ মে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়। তার দু’দিন পরে ৪১এ ধারায় নোটিস দেয় পুলিশ। গত ১৪ মে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনযোগ্য ধারায় জামিন নিতে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ১২ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালত। প্রথম দিন পুলিশের কেস ডায়েরি না দেখেই হেফাজতে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত।

Amit Shah: সরকার গড়তে কেন বিজেপির ‘প্ল্যান-বি’ নেই? বিস্ফোরক জবাব অমিত শাহ-র

সন্দেশখালির স্টিং অপরেশনে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের মুখে নেত্রী মাম্পির নাম উঠে এসেছিল। এসবের মধ্যেই, সন্দেশখালির এক গৃহবধূ থানায় অভিযোগ করেন যে, তাঁর গ্রেফতার হওয়া ভাইকে ছাড়ানোর শর্তে ধর্ষণের অসত্য অভিযোগ দায়ের করতে বলেছিলেন বিজেপি মাম্পি দাস। পরে অভিযোগ তুলে নিতে চাইলে বিজেপির তরফে তাঁকে শাসানো হয়। মাম্পির বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে তাঁকে নোটিস দেয়। যার প্রেক্ষিতে গ্রেফতারি এড়াতে বসিরহাট আদালতে অগ্রিম জামিন চাইতে গিয়েছিলেন মাম্পি। সেখানে অন্য মামলা দিয়ে তাঁকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ। নিম্ন আদালত তাঁকে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাই কোর্টে মামলা করেন মাম্পি।