মনোনয়ন জমা দিলেন শমীক, রাজ্য সভাপতি পদে নাম ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা

কলকাতা: অবশেষে বহুদিনের জল্পনায় পড়ল সিলমোহর। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য। বুধবার দুপুরে নির্ধারিত সময়েই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেন।…

samik bhattacharya submits nomination

কলকাতা: অবশেষে বহুদিনের জল্পনায় পড়ল সিলমোহর। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন শমীক ভট্টাচার্য। বুধবার দুপুরে নির্ধারিত সময়েই তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেন। সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার বিষয়টি এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছিল সম্ভাব্য নেতৃত্ব বদলের আলোচনা। দলের অন্দরেও অনেকে চাইছিলেন একটি ভারসাম্যপূর্ণ, সংগঠনের কাজে অভিজ্ঞ মুখকে রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে দেখতে। সেই তালিকায় প্রথম থেকেই অন্যতম নাম ছিল রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের।

   

নাড্ডার নির্দেশেই মনোনয়ন?

দলীয় সূত্রের খবর, সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সরাসরি নির্দেশেই রাজ্য সভাপতির পদে মনোনয়ন জমা দেন শমীক। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

যদিও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা রয়েছে, তবু বিজেপি সূত্রের খবর, অন্য কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেননি। ফলে শমীক ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা এখন নিছক সময়ের ব্যাপার।

দলের ভেতরে বদলের হাওয়া samik bhattacharya submits nomination

গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বে পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছিল। ২০২4 সালের লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে সংগঠন পুনর্গঠনের দাবি জোরালো হচ্ছিল। সুকান্ত মজুমদার বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বে রয়েছেন এবং বিজেপির ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির নিরিখে তাঁর পদে থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল।

Advertisements

তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের পাশাপাশি বিজেপির পুরনো কর্মীদের মধ্যে মতপার্থক্য সামলাতে শমীকের মতো দীর্ঘদিনের দলের মানুষ, যাঁর দলের প্রতি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে-তাঁকে বেছে নেওয়াকেই কৌশলগত পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

বিধানসভা ভোটের আগে বড় বার্তা?

রাজ্য বিজেপিতে শীর্ষ নেতৃত্ব বদলের এই সিদ্ধান্ত আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন উঠছে, শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে দল কতটা সংহত হতে পারবে এবং বিরোধী শক্তি হিসেবে আবার কতটা শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে।

পুরনো-নতুন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানো, মাটির স্তরে সংগঠন চাঙ্গা করা, এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে এগনো—এই সবই এখন শমীকের সামনে চ্যালেঞ্জ।

দলীয় নেতৃত্বের মতে, “শমীক এক জন পরিশীলিত, ব্যালান্সড মুখ। সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে। আশা করা যায়, উনি দলকে নতুন জায়গায় নিয়ে যাবেন।”