বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে কর্মীদের দলবদল সবসময়ই রাজনীতির এক চিরন্তন চিত্র। তবে, সম্প্রতি সাগরদিঘিতে (Sagardighi) বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। সাগরদিঘী ব্লকের কাবিলপুর অঞ্চলে SDPI এবং বাড়ালা অঞ্চলে কংগ্রেসের একাধিক একনিষ্ঠ কর্মী সম্প্রতি তাদের দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও যোগদানের কারণ
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সদ্য যোগদান করা কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস এবং SDPI দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে তারা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের কারণ হিসেবে সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের কাজ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পে প্রভাবিত হওয়ার কথা জানান। সদ্য যোগদানের পর কিছু কর্মী জানান, “বায়রন বিশ্বাসের এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমরা এর অংশ হতে চাই, তাই পুরানো দল ছেড়ে আমরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।”
বিধায়কের শাসকদলে যোগদান ও প্রতিক্রিয়া
গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য আরোও বেশি বেড়েছে কারণ কিছুদিন আগেই বাইরন বিশ্বাস বিরোধী দল থেকে বিধায়ক হিসেবে জয়লাভ করে কংগ্রেস থেকে তৃণমূল যোগ দিয়েছেন। প্রথমে বাইরন বিশ্বাস শাসক দলে যোগ না দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। এই দ্বিমুখী অবস্থান নিয়ে সাগরদিঘির মানুষের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ দেখা দিলেও বর্তমানে তার কাজে খুশি হয়ে অনেকে তাকে সমর্থন জানাতে শুরু করেছে।
জেলায় সাগরদিঘির রাজনৈতিক অবস্থা ও তৃণমূলের অবস্থান
সাগরদিঘি জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং বাইরন বিশ্বাসও নিজের কর্মদক্ষতার মাধ্যমে মানুষের মনে স্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। কিছু দিন আগেও বাইরন বিশ্বাসের যোগদানের সময় এলাকায় কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও, বর্তমানে তিনি তার উন্নয়ন প্রকল্প এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তার সমর্থন ভিত্তি আরও শক্তিশালী করেছেন।
যোগদান পর্বের এই নতুন দৃষ্টান্তে কংগ্রেস এবং SDPI ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া কর্মীরা বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের এলাকায় উন্নয়নের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র যোগ্য দল, তাই শাসক দলের সঙ্গে কাজ করতেই এখন আগ্রহী। এ কারণে আমরা একসঙ্গে তৃণমূলে যোগদান করেছি।”
বিষয়টি নিয়ে জেলার প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য প্রভাব
সাগরদিঘির বিভিন্ন অঞ্চলে এর ফলে বিরোধী দলের জন্য সমস্যা আরো বেড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, শাসকদলে যোগদানের জন্য যারা দল বদল করেছেন তারা বাইরন বিশ্বাসের জনপ্রিয়তার নতুন দিক তৈরি করেছে, যা অন্য দলের জন্য উদ্বেগজনক।